প্রকাশ: শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম (ভিজিট : ২১৫)
সব থেকে বড় কথা হচ্ছে, ইউরোপিয়ান দেশগুলোর মতো ভিসা পাওয়া কঠিন নয় বরং অনেক সহজেই চায়নিজ ভিসা পাওয়া যায়। ভিসার ব্যাপারে এক্স-১ ভিসা নিয়ে যেতে হবে। এক্স-১ লংটার্ম স্টাডির জন্য দেওয়া হয়। সংক্ষেপে বলতে গেলে চীনে বিদেশি ছাত্রছাত্রীদের পার্টটাইম জব করা বেআইনি। চীনে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা নিয়ে খুব ব্যস্ত থাকতে হয়। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ক্লাস, হোমওয়ার্ক, ল্যাবের পর বাড়তি কাজের সুযোগ কম। তবে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের মতো চীনেও পার্টটাইম জব রয়েছে। পার্টটাইম জব করতে হলে প্রথমে চায়নিজ ভাষা শিখতে হবে এবং বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে তারাই পার্টটাইম জব ম্যানেজ করে দেয়। আর যদি নিজে নিজে ম্যানেজ করা যায়, তাহলে কাজ করার আগে বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই অবহিত করতে হবে। সে ক্ষেত্রে ইংরেজি পড়ানো, দোভাষী হিসেবে কাজ করার সুযোগ বেশি থাকে। ৮০ শতাংশ কাজ থাকে ইংরেজি পড়ানোর। চীনে পড়াশোনা শেষ হওয়ার পর জব প্লেসমেন্টের সুযোগ রয়েছে। বিবিএ ও এমবিএ শেষ করার পর যেকোনো মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে জব করার সুযোগ রয়েছে। নিজের দেশে এসেও চীনা কোম্পানিতে জব করার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাওয়া যায়।
চীনে কোন ভাষায় পড়বেন : চায়নিজ কিংবা ইংলিশ দুই ভাষাতেই পড়তে পারবেন। ডিপ্লোমা সাধারণত চায়নিজ ভাষায় পড়ানো হয়। অনার্স, মাস্টার্স, পিএইচডি চায়নিজ কিংবা ইংলিশে করতে পারেন। সিএসসি স্কলারশিপে আবেদন করতে হলে অবশ্যই আইইএলটিএসের প্রয়োজন পড়বে। যদি আপনার প্রোফাইল আউটস্ট্যান্ডিং হয় সে ক্ষেত্রে কনসিডার করে অনেক সময়। কখনও ইউনিভার্সিটিতে গিয়ে প্রফিসিয়েন্সি টেস্টের জন্য ছোট্ট পরীক্ষা দেওয়া লাগে। আর যারা চায়নিজে পড়তে চান গ্র্যাজুয়েশনের আগে এইচএসকে কমপ্লিট করতে হবে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী ইংলিশ ভার্সনে যারা পড়বেন তাদেরও এইচএসকে ৪ কমপ্লিট করতে হবে। এতে করে পরবর্তী সময়ে চীনে জব করতে কোনো অসুবিধা হবে না। একই সঙ্গে অনেক অপরচুনিটির দুয়ার খুলে যাবে। চাইলে ছয় মাসেও এইচএসকে ৪ কমপ্লিট করা যায়। ভয়ের কোনো কারণ নেই। স্কলারশিপের ধরন এবং ইউনিভার্সিটি অনুযায়ী ৬০-৮০ শতাংশ মার্কসের প্রয়োজন হবে। তবে ৯০ শতাংশ অ্যাটেনডেন্স মাস্ট। ক্লাসের অ্যাক্টিভিটি ভালো হলে তো কোনো কথাই নেই। ৩০-৫০ শতকাংশ মার্কস ক্লাস পারফরম্যান্সের ওপরেই ডিপেন্ড করে।
নিজ খরচে পড়াশোনা করতে চাইলে : ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বার্ষিক টিউশন ফি দুই-তিন লাখ টাকার মতো হয়। ভার্সিটি ভেদে এই অর্থের তারতম্য হতে পারে। মেডিকেলে তিন থেকে ছয় লাখ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক টিউশন ফি হয়ে থাকে। পাঁচ বছরের কোর্স। এক বছর ইন্টার্নি। হোস্টেল ফি ভার্সিটি ভেদে বার্ষিক ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। তাই যারা উচ্চশিক্ষা এবং উচ্চতর গবেষণার জন্য দেশের বাইরে বিশ^বিদ্যালয়ে পড়াশোনার কথা ভাবছেন, তারা চীনের বিশ^বিদ্যালয়গুলোকে পছন্দের তালিকায় রাখতে পারেন। জেনে রাখা ভালো, মেডিকেলে পড়াশোনার ক্ষেত্রে কোনো স্কলারশিপ নেই।