প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৩০ মে, ২০২৩, ১২:৪৩ পিএম | অনলাইন সংস্করণ Count : 1352
কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ গত বছর মার্চ মাসে মূল ভবন হস্তান্তর করা হয়। হস্তান্তর শুরু থেকে এখন পর্যন্ত অধ্যক্ষ ডা. মোহাম্মদ দেলদার হোসেনের গড়িমসিতে আসেনি শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যান্টিনের কোন টেন্ডার। পরবর্তীতে জনবল প্রকল্পের নিয়োগ প্রাপ্ত মশিউর রহমানের পরিকল্পনায় ও অধ্যক্ষ ডা. মোহাম্মদ দেলদার হোসেনের সম্মতিতে গত ১৫ মার্চ কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের অবৈধভাবে টেন্ডারবিহীন ক্যান্টিন পরিচালনা হচ্ছে।
এর আগে গত বছরের ৩০ মার্চ থেকেই রিফাত মিলন ছাত্রবাস ও রহিমা আফসার ছাত্রীনিবাসের থেকে শুরু হয় নতুন ক্যাম্পাসে যাত্রা। শুরুতে দুপুর আর রাতের খাবার রান্না হতো। সকালের নাস্তা না থাকায় ছেলে মেয়েদের অনেক অসুবিধা হয়। এমতাবস্থায় কয়েক জন শিক্ষকের অনুরোধে রহিমা আফসার ছাত্রী হোস্টেলে সকালের নাস্তা শুরু করেন ওই হোস্টেলের বাবুর্চি। এতে মেয়েরা অনেক খুশি হয়।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের একজন কর্মচারী বলেন, শুরুতে ক্যান্টিন চালু করতে চেয়েছিলেন টিচাররা কিন্তু প্রিন্সিপাল স্যার বলেছিলেন টেন্ডার ছাড়া এটা ওপেন করা যাবে না। তাহলে এখন স্যার কিভাবে অনুমতি দেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্ত মাজহারুল ইসলাম ও মশিউর রহমান সাথে দেখা করলে তারা বলেন, আসলে বিষয়টি আমরা প্রিন্সিপাল স্যারের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কারণ সকাল ৭ টার সময় শিক্ষার্থীরা নাস্তা করতে অনেক দূরে যেত। তাই আমরা শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তবে ক্যান্টিন টেন্ডারের মাধ্যমে দেওয়া হবে আরও কিছুদিন পরে।
ঘটনার বিষয়ে জানতে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মোহাম্মদ দেলদার হোসেনকে ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এরপর বেশ কয়েকবার তার দফতরে গেলেও সাক্ষাতের অনুমতি মেলেনি।
মশিউর রহমান, মাজহারুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, রাজস্ব খাতের কর্মচারী হিসাব রক্ষক ও ইউনুস আলী গার্ড এর মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে ক্যান্টিন। মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও এইসব কর্মচারীদের পকেট ভারী করতে তারা নিজেরাই নিজ উদ্যোগে হোস্টেলের বাবুর্চিকে বাদ দিয়ে ক্যান্টিনে নতুন বাবুর্চি নিয়ে এই ব্যবসা করছে।