ই-পেপার মঙ্গলবার ৩ ডিসেম্বর ২০২৪
মঙ্গলবার ৩ ডিসেম্বর ২০২৪
ই-পেপার

মঙ্গলবার ৩ ডিসেম্বর ২০২৪

বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের মানবিক বন্ধু
সায়মা ওয়াজেদ
প্রকাশ: রবিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৩, ৩:১৯ এএম আপডেট: ১৯.১১.২০২৩ ৮:০১ এএম  (ভিজিট : ৪৯৫)


বঙ্গবন্ধুর নাতনি সায়মা ওয়াজেদ ১৯৯৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনোবিজ্ঞানে স্নাতক এবং ২০০২ সালে ক্লিনিক্যাল মনস্তত্ত্বে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০৪ সালে স্কুল সাইকোলজির ওপর বিশেষজ্ঞ ডিগ্রি অর্জন করেন। ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সময় তিনি বাংলাদেশের নারীদের উন্নয়ন গবেষণা করেন। এ বিষয়ে তার গবেষণাকর্ম ফ্লোরিডার একাডেমি অব সায়েন্সের কাছ থেকে শ্রেষ্ঠ সায়েন্টিফিক উপস্থাপনা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন। ২৫ অক্টোবর নয়াদিল্লিতে ৮-২ ভোটে তিনি নির্বাচিত হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী নেপালের শম্ভু প্রসাদ আচার্য পেয়েছেন ২ ভোট। সায়মা ওয়াজেদ আগামী পাঁচ বছর এই দায়িত্ব পালন করবেন। এসইএআরওর ১১টি দেশ বাংলাদেশ, ভুটান, উত্তর কোরিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড এবং পূর্ব তিমুর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ছয়টি আঞ্চলিক অফিসের মধ্যে একটি, যা সদস্য দেশগুলোর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত। বাংলাদেশ সরকার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক পদে ছয়টি আঞ্চলিক অফিসের মধ্যে একটি। যা সদস্য দেশগুলোর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত। বাংলাদেশ সরকার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক পদে সায়মা ওয়াজেদকে মনোনীত করে।

বঙ্গবন্ধুর নাতনি সায়মা ওয়াজেদ ১৯৯৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনোবিজ্ঞানে স্নাতক এবং ২০০২ সালে ক্লিনিক্যাল মনস্তত্ত্বে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০৪ সালে স্কুল সাইকোলজির ওপর বিশেষজ্ঞ ডিগ্রি অর্জন করেন। ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সময় তিনি বাংলাদেশের নারীদের উন্নয়ন গবেষণা করেন। এ বিষয়ে তার গবেষণাকর্ম ফ্লোরিডার একাডেমি অব সায়েন্সের কাছ থেকে শ্রেষ্ঠ সায়েন্টিফিক উপস্থাপনা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। সায়মা ওয়াজেদ সমাজের প্রতিবন্ধী মানুষের বিভিন্ন কর্মের জন্য ইতিমধ্যে শুধু বাংলাদেশে নয়, দেশ-বিদেশে অটিজম বিষয়ে নানা উন্নয়ন এবং পরিকল্পনা গ্রহণ করে সর্বজন গ্রহণযোগ্য মানবিক মানুষ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন।

আমাদের দেশে প্রতিবন্ধী মানুষ জন্মের পর থেকেই অবহেলার শিকার। এদের দূরে রেখে একটি উন্নয়নশীল দেশ গড়া সহজ নয়। বঙ্গবন্ধুর নাতনি সায়মা ওয়াজেদ এ গুরুত্ব অনুধাবন করে তাদের দূরে ঠেলে দেওয়া ঠিক নয়, বরং তাদের কাছে টেনে নিয়ে পরিচর্র্যা করে সমাজের আর দশটা মানুষের মতো কাজ করার সুযোগ করে দিতে হবে। এই মমতাটুকু ওই মানুষরা পেলেই সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা সরকারপ্রধানের দায়িত্ব গ্রহণের পর এ বিষয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করে। প্রথমেই আভিধানিকভাবে ‘প্রতিবন্ধী’ শব্দটি পরিবর্তনে এগিয়ে আসে। বর্তমান সময়ে তাদের প্রতিবন্ধী না বলে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন জনগোষ্ঠী বলা হয়। ধীরে ধীরে এই জনগোষ্ঠীকে একজন কর্মক্ষম দক্ষ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এ লক্ষ্যে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সঙ্গে পেয়েছেন সুযোগ্য কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার ১০টি লক্ষ্য নির্ধারণ করে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন গোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন শুরু করেন। প্রতিবন্ধীবান্ধব উন্নত দেশগুলোর মতো করেই কাজের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু কাজের জায়গায় প্রতিবন্ধীরা বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হয়ে থাকে। শুরুর দিকে নিউরো ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট এখন অনেকটা পরিণীত পেয়েছে। দেশের মানুষ অনুভব করতে পেরেছে তারাও আমাদের আপনজন। তাই সবার সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠানটি কাজ করে যাচ্ছে।

অটিজম কোনো বংশগত রোগ নয়। এটা স্নায়ুগত বা মানসিক সমস্যা। অটিজমকে সাধারণভাবে শিশুর মনোবিকাশগত জটিলতা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। অটিজমের লক্ষণগুলো সাধারণত শৈশব থেকে প্রকাশ পেয়ে থাকে। অটিজমকে একসময় পাপ বা অভিশাপ মনে করা হতো। তারা সমাজের কাছে ছিল বোঝা এবং পরিবারের কাছে ছিল অবহেলিত। আসলে অটিস্টিক শিশুদের স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠার ছিল না যথাযথ পরিবেশ, সুযোগ-সুবিধা এবং ব্যবস্থাপনা।
বর্তমান সরকার অবদান রেখেছে অটিজম শিশুদের মানসিক বিকাশের জন্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার কন্যা সায়মা ওয়াজেদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় অটিজম মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশে^ অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। অটিস্টিক শিশুরা প্রত্যেকে আলাদা হাওয়ায় তাদের জন্য নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। দক্ষ, অভিজ্ঞ, প্রশিক্ষিতদের তত্ত্বাবধান, বিশেষ শিক্ষা কর্মসূচির ব্যবস্থা প্রত্যেক শিশুর বিশেষ চাহিদা পূরণ, বিকলাঙ্গ শিশুদের আর্থিকভাবে বিশেষ ব্যবস্থার আওতায় আনা হয়েছে। 

মানসিক ও শারীরিক উভয় ধরনের অটিস্টিক শিশু রয়েছে। তাদের উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সঠিকভাবে বেড়ে ওঠার পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। অটিজম বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, অটিজম চিকিৎসায় ওষুধের কোনো ভূমিকা নেই। এর জন্য প্রয়োজন প্রশিক্ষণ। তবে প্রতিটি অটিস্টিক শিশুই আলাদা হওয়ায় তাদের প্রশিক্ষণের বিষয়টি পৃথক। যত দ্রুত অটিজমের বিষয়টি উপলব্ধি করে চিকিৎসা শুরু করা যায় ততই ভালো। সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করলে প্রতিটি অটিস্টিক শিশুই স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে।

সাধারণ শিশুদের মতো অটিজম শিশুরাও মেধাবী। তাদের মেধা ও শ্রমের সব কর্মকাণ্ড ব্যবহারের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। মূলত এসব বিষয় নজর রেখে অটিজম শিশু এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সায়মা ওয়াজেদ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।

ঢাকার মিরপুরে জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ক্যাম্পাসে অটিজম রিসোর্স সেন্টার ও একটি অবৈতনিক বিদ্যালয় স্থাপন করে অটিজম বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন শিশু ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বিনামূল্যে বিভিন্ন সেবা দেওয়া হচ্ছে। সেখানে অটিস্টিক প্রতিবন্ধী মানুষদের একসঙ্গে শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঢাকা সেনানিবাসে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য ‘প্রয়াস’ নামে একটি বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায় এর নতুন শাখার কাজ শুরু করেছে। পাশাপাশি প্রতিটি সেনানিবাসে প্রতিষ্ঠার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর ব্রেইল বই দেওয়া হয়েছে। পাবলিক পরীক্ষায় তাদের জন্য রাখা হয়েছে অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময়। অটিজম আক্রান্ত শিশুদের দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিনামূল্যে থেরাপিউটিক. কাউন্সেলিং ও অন্যান্য সেবা সহায়ক উপকরণ দেওয়া হয়েছে। দেশের ৬৪টি জেলা ও ৩৯টি উপজেলায় মোট ১০৩টি প্রতিবন্ধী সেবা ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার চালু করা হয়েছে। এসব কেন্দ্র থেকে ২৮ লাখ প্রতিবন্ধী সেবা গ্রহণ করছে। ঢাকা শিশু হাসপাতালসহ ১৫টি সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে শিশু বিকাশ কেন্দ্র স্থাপন করে অটিজম ও নিউরো ডেভেলপমেন্টাল সমস্যাজনিত শিশুদের চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে অটিজম আক্রান্তদের শনাক্ত করে তাদের চিকিৎসাসেবা শুরু করা হবে।

ঢাকা শিশু হাসপাতালসহ ১৫টি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু বিকাশ কেন্দ্র স্থাপন করে অটিজম ও নিউরো ডেভেলপমেন্টাল সমস্যাজনিত শিশুদের চিকিৎসা প্রধান করা হচ্ছে। অটিজম বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন ব্যক্তিদের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনস্টিটিউড ফর পেডিয়াটিক নিউরো-ডিজঅর্ডার অ্যান্ড অটিজমের মাধ্যমে উপজেলা পর্যায়ে ডাক্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদফতর ও আইসিডিডিআরবির মাধ্যমে অটিস্টিক শিশুদের প্রাথমিক পরিচর্যাকারী হিসেবে মায়েদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া অটিজম ও স্নায়ুবিকাশজনিত সমস্যা প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করার জন্য বিশেষজ্ঞ গ্রুপের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের উপযোগী করে স্ক্রিনিং টুলস প্রণয়ন কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অটিস্টিক শিশুদের আঁকা ছবি দিয়ে ২০০৯ সাল থেকে ‘প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দিবসের কার্ড’ তৈরি হয়।

১৯৯৯ সালে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির জন্য ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠা করা হয়, যা পরে জেপিইউএফে পরিণত হয়। অটিজমসহ এনডিডি (নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার) আক্রান্তদের চিকিৎসাসহ যাবতীয় অধিকারের সুরক্ষা আইনের আওতায় আনতে ২০১৩ সালে ‘ডিজঅ্যাবিলিটি ওয়েলফেয়ার অ্যাক্ট’ ও ‘দ্য ন্যাশনাল নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার প্রটেকশন ট্রাস্ট অ্যাক্ট’ করা হয়। ২০১১ সালের জুলাই মাসে ঢাকা সম্মেলনের ঘোষণা অনুযায়ী ‘সাউথ এশিয়ান অটিজম নেটওয়ার্ক’ গঠিত হয়, যার মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে দৈহিক ও মানসিক প্রতিবন্ধীদের সমাজের অংশ বলে গণ্য করার জোর প্রচার চলছে।

সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ২০০৮ সাল থেকে শিশুদের অটিজম এবং স্নায়বিক জটিলতা-সংক্রান্ত বিষয়ের ওপর কাজ শুরু করেন। অল্প সময়ের মধ্যেই তার কাজ বিশ্বজুড়ে প্রশংসা কুড়ায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে ‘হু অ্যাক্সিলেন্স’ অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করে। পুতুলের উদ্যোগেই ২০১১ সালের জুলাইয়ে ঢাকায় অটিজম নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনের পর গড়ে ওঠে সাউথ এশিয়ান অটিজম নেটওয়ার্ক।

একটি রাষ্ট্র তখনই কল্যাণকর রাষ্ট্রে পরিণত হয়, যখন প্রতিটি নাগরিকের জন্য যথাযথ সুযোগ-সুবিধা বজায় থাকে। অটিজম শিশু এবং প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে গৃহীত মা-মেয়ের নানা কার্যক্রম জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে পেয়েছে 
স্বীকৃতি এবং অর্জন করেছে প্রশংসা। অটিজম শিশুদের অবহেলা করে মানবাধিকার যাতে লঙ্ঘিত না হয় সেদিকে নজর রাখছে সরকার। সাধারণ শিশুদের পাশাপাশি অটিজম শিশুরাও পাবে অধিকার এবং এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট সবাই। অটিজম শিশুদের কল্যাণে সায়মা ওয়াজেদ যে ভূমিকা পালন করছেন তা বিরল। তার নতুন দায়িত্ব বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক নির্বাচিত হওয়ায় কাজের ক্ষেত্র আরও প্রসারিত হবে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন আক্রান্তরা আরও উপকৃত হবে-এ প্রত্যাশা।

লেখক: সহকারী সম্পাদক, সময়ের আলো


সময়ের আলো/আরএস/ 





https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ। নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।
ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close