ই-পেপার রোববার ১২ মে ২০২৪
রোববার ১২ মে ২০২৪

ওষুধ খেয়ে পিরিয়ড বন্ধের বিধান
প্রকাশ: রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৪:৫৭ এএম  (ভিজিট : ৩২৮)
আল্লাহ তায়ালা মানুষকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন পরীক্ষা করার জন্য। নারী-পুরুষ সবাইকে বিভিন্নভাবে তিনি পরীক্ষা করেন। পুরুষদের যেমন কিছু বিষয় সহজ ও কিছু বিষয় কঠিন করা হয়েছে, তেমনি নারীদেরও কিছু বিষয় সহজ ও কিছু বিষয় কঠিন করা হয়েছে। নারীদের পিরিয়ড বা ঋতুস্রাব এমন একটি স্বাভাবিক প্রাকৃতিক বিষয়। এতে আল্লাহ কিছু হেকমত ও কল্যাণ নিহিত রেখেছেন। একে বন্ধ করে রাখলে এ হেকমতগুলোও খতম হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ দিনগুলোতে নারীদের মাজুর ঘোষণা করা হয়েছে। নামাজ, রোজা আদায় না করার কারণে জবাবদিহিতা নেই। নামাজ পুরোপুরি মাফ। রোজার কাজা অন্য সময় করে নিতে হয়। আর এর কারণে নারীর প্রতিদান কোনো অংশে কম হয় না। স্বাভাবিক অবস্থায় যেমন নামাজ, রোজা, কুরআন তেলাওয়াত ইত্যাদি করার মাধ্যমে আল্লাহর আনুগত্য প্রকাশ করা হয়, তেমনি মাসিক ঋতুস্রাবের সময় এসব থেকে বিরত থাকাই আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের প্রকাশ। তাই ঋতুস্রাব বন্ধ করে এ ধরনের কষ্ট না করাই উত্তম।

অবশ্য পিরিয়ডের রক্ত বন্ধ রাখার জন্য ওষুধ ব্যবহার করা নাজায়েজ নয়। ঋতুস্রাব বন্ধ করে রাখা কিংবা বিলম্বিত করে রাখার ওষুধ ও চিকিৎসা নবীজি (সা.)-এর যুগেও ছিল। কিন্তু নবী (সা.) কখনো এ ধরনের ব্যবস্থাপত্র গ্রহণ করতে উৎসাহী করেননি। তবে বাস্তবতা হলো, রাসুল (সা.) কখনো নিষেধও করেননি। তবে কোনো কোনো সময় ওষুধ ব্যবহার নারীর জন্য অনেক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ঋতুস্রাব আসার দিনগুলোতে অনিয়ম দেখা দেয়। যার কারণে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। আবার অনেক সময় ওষুধ খেলেও ঋতুস্রাবের মতো প্রবহবান কিছুর জন্য প্রতিবন্ধক হয় না। ফলে নারীর পেরেশান হতে হয়, সে জানে না এটা কি পিরিয়ডের রক্ত, না কোনো অসুবিধা হওয়ার কারণে অন্য কোনো রক্ত আসছে, তখন তার নামাজ, রোজা নিয়েও বেশ বিপাকে পড়তে হয়। নারীকে তখন অনেকটা উদ্বিগ্ন দেখায়। পরে দেখা যায় তাকে বাধ্য হয়ে ওষুধ ব্যবহার ছাড়তে হয়। ডাক্তাররাও ওষুধ ব্যবহার করতে নিষেধ করেন। কারণ এর থেকে অনেক রোগের উপসর্গ তৈরি হয়। 

তবে যেসব ওষুধে ক্ষতির আশঙ্কা নেই, সেগুলো ডাক্তারের পরামর্শে ব্যবহার করা যেতে পারে। বিশেষ করে হজ ও ওমরার সফরে ব্যবহার করা যায়। ইবনে মাসউদকে (রা.) যখন জিজ্ঞেস করা হলো, ‘এমন ওষুধ নারীরা ব্যবহার করতে পারবে, যার দ্বারা সফর থেকে ফেরা পর্যন্ত ঋতুস্রাব থেকে মুক্ত থাকতে পারবে?’ তিনি বললেন, ‘আমি এতে কোনো অসুবিধা মনে করি না।’ অতঃপর তিনি বললেন, ‘এ ক্ষেত্রে পিলুর পানি খুবই উপকারী।’ 

ঋতুস্রাব শুরু হওয়ার আগেই যদি ওষুধ খেয়ে নেওয়া হয়, আর রক্ত না আসে, তা হলে যতক্ষণ পর্যন্ত রক্ত না আসবে, ততক্ষণ পর্যন্ত নারী পবিত্র বলে গণ্য হবে। এ দিনগুলোতে নামাজ, রোজা আদায় করতে হবে। 

কুরআন তেলাওয়াত, তওয়াফ, সহবাস ইত্যাদিও করা যাবে। আর পিরিয়ডের রক্ত শুরু হয়ে গেলে ওষুধ খেয়ে বন্ধ করলে ঋতুবতী নারী পবিত্র বলে গণ্য হবে না; বরং পিরিয়ডের সর্বনিম্ন সীমা তিন দিন পর্যন্ত নামাজ, রোজা, কুরআন তেলাওয়াত, তওয়াফ, সহবাস ইত্যাদি সব নিষেধ। এরপর থেকে সব করা যাবে। (খোলাসাতুল ফাতাওয়া : ১/২১৩; ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ১/৩৮; আল মুগনি : ১/৪৫০)

সময়ের আলো/আরএস/





https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: কমলেশ রায়, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close