ই-পেপার শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪

কাতারের আমিরের বাংলাদেশ সফর
কূটনৈতিক সাফল্যের আরেকটি মাইলফলক
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১২:৫০ এএম  (ভিজিট : ৪২০৬)
বাংলাদেশ-কাতারের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০ বছরপূর্তি উদযাপিত হচ্ছে। দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে বাংলাদেশ-কাতার সম্পর্ক ধীরে ধীরে শক্তিশালী হয়েছে, উষ্ণ থেকে উষ্ণতর হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের কর্ণধার থাকাকালেই কাতার মধ্যপ্রাচ্যের বা আরব বিশ্বের রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে অগ্রভাগে বাংলাদেশকে স্বাধীনতার স্বীকৃতি দিয়েছিল, কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করেছিল যা একটি অনন্য নজির। বাংলাদেশ-কাতার সম্পর্কের এই ঐতিহাসিক ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে গত দশ বছরে আমরা লক্ষ করেছি বাংলাদেশ-কাতার সম্পর্ক এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। বাংলাদেশ-কাতার সম্পর্কের একটি নতুন মাইলফলক হিসেবে কাতারের বর্তমান আমির, শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি, আধুনিক কাতারের অন্যতম স্থপতির এই সফরকে আমরা মূল্যায়ন করতে পারি। কাতারের সঙ্গে চলমান বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি চুক্তি রয়েছে এবং অতীতে গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় শীর্ষ বৈঠক হয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেশ কয়েকবার কাতার সফর করেছেন এবং সেই সফরে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সম্মেলনে যেমন অংশগ্রহণ করেছেন এবং একই সঙ্গে কাতারের আমির ও গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছেন। সেই বৈঠকগুলোর ফলশ্রুতি হিসেবেই বাংলাদেশ-কাতার সম্পর্ক যা একসময় মূলত জ্বালানি এবং শ্রম ইস্যুতেই আবদ্ধ ছিল সেই সম্পর্ক এখন বহুমাত্রিকতা পেয়েছে। এই বহুমাত্রিক সম্পর্কের একটি চূড়ান্ত পরিণতি আমরা লক্ষ করি প্রায় দুই দশক পর কাতারের আমিরের বাংলাদেশ সফরের মাধ্যমে। এই সফরটি দুই দেশের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইতিমধ্যে বাংলাদেশে কাতারের আমিরের সফর সমাপ্ত হয়েছে। কাতারের আমির এই সফরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। কাতারের আমির বাংলাদেশের নতুন সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার টানা চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর এই প্রথম গুরুত্বপূর্ণ এই শীর্ষ বৈঠক হয়েছে।

এই সফরের মাধ্যমে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের দুটো প্রধান ক্ষেত্রে আমরা বড় ধরনের পরিবর্তন লক্ষ করছি। একটি হচ্ছে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের বড় ধরনের দৃশ্যমান পরিবর্তন সূচিত হওয়ার সম্ভাবনা যা আরও আগেই শুরু হয়েছিল। আমরা লক্ষ করেছি বাংলাদেশ এবং কাতারের মধ্যে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে এবং পাঁচটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। এই চুক্তি এবং সমঝোতা স্মারকের বিষয়গুলো অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এই বিষয়গুলোই পরিষ্কার করে বলে দেয় বাংলাদেশ-কাতার সম্পর্কের বহুমাত্রিকতা এবং গভীরতা। যেমন আমরা যদি চুক্তিগুলোর দিকে তাকাই সেখানে প্রথম যে চুক্তিটি আছে সেটি হচ্ছে বাংলাদেশ এবং কাতারের মধ্যে দ্বৈত কর পরিহারের চুক্তি এবং শুধু তাই নয়, আর্থিক বিভিন্ন বিষয়, করসহ যেকোনো ইস্যুতে দুই দেশ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেটি নিশ্চিত করার জন্য এই চুক্তিটি হয়েছে। দ্বিতীয় যে চুক্তিটি হয়েছে সেটি হচ্ছে বাংলাদেশ এবং কাতারের মধ্যে আইনগত সহায়তার চুক্তি যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের একটি শক্তিশালী আইনগত ভিত্তি আছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আইনগত প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি সারা বিশ্বে সমাদৃত এবং কাতারও একটি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র হিসেবে তাদের আইনি ব্যবস্থাও খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। ফলে এই দুই দেশ আইনগত সহায়তার ক্ষেত্রে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করতে পারে।  

তৃতীয় চুক্তিটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল এবং বাংলাদেশের ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুক ঘোষণা ছাড়াও ব্লু-ইকোনমি বা সুনীল অর্থনীতির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ এবং কাতারের মধ্যে সামুদ্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থাটিকে শক্তিশালী করার জন্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তিটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ কাতারের শক্তিশালী সামুদ্রিক যোগাযোগব্যবস্থা রয়েছে এবং বাংলাদেশও সামুদ্রিক যোগাযোগব্যবস্থা শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে। ফলে দুই দেশ এ ক্ষেত্রে ব্যাপক সহায়তা করতে পারে এবং সে সম্ভাবনার দিকে দুই সরকারপ্রধান গুরুত্ব দিয়েছেন। চতুর্থ চুক্তিটি বাংলাদেশ এবং কাতারের মধ্যে পারস্পরিক বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য স্বাক্ষরিত হয়েছে। 

পৃথিবীর যেকোনো দেশের উন্নয়নের অন্যতম স্তম্ভ হচ্ছে বিনিয়োগ বৃদ্ধি। বাংলাদেশে গত এক দশক ধরে বিনিয়োগের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলেও আরও বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। পঞ্চম চুক্তিটি বাংলাদেশ এবং কাতারের মধ্যে একটি যৌথ বিজনেস কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা সম্পর্কিত। কাতারের আমিরের সফরের সময়ে দেশটির বৃহৎ বাণিজ্যিক সংগঠনের সভাপতি বাংলাদেশে এসেছিলেন। ফলে বাংলাদেশের এফবিসিসিআই এবং কাতারের শীর্ষ ব্যবসা সংগঠনের মধ্যে যোগাযোগ এবং সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য এই প্রথমবার বাংলাদেশ-কাতার জয়েন্ট বিজনেস কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা হয় যার মাধ্যমে বাংলাদেশ-কাতারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক শক্তিশালী হওয়ার সুযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। 
অন্যদিকে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে স্বাক্ষর হয়েছে। প্রথমটি জনশক্তি রফতানির ক্ষেত্রে হয়েছে। শ্রম এবং জনশক্তি দুই দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের প্রায় ৪ লাখ অভিবাসী শ্রমিক কাতারে অবস্থান করছে। দ্বিতীয় এমওইউটি কাতারের মাওয়ানিক বন্দর এবং বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের মধ্যে অর্থাৎ দুই দেশের বন্দরের মধ্যে সহযোগিতার বিষয়ক। সামুদ্রিক যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য যে সহযোগিতা প্রয়োজন এটি এখানে একটি বড় ভূমিকা রাখবে। তৃতীয় সমঝোতা স্মারকটি হচ্ছে উচ্চ শিক্ষা এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণার ক্ষেত্রে, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য এমওইউ স্বাক্ষর হয়েছে। কাতার ফিফা বিশ^কাপ আয়োজন করেছিল। কাতারের অত্যন্ত শক্তিশালী ক্রীড়া অবকাঠামো রয়েছে। বাংলাদেশও এই ক্ষেত্রে অনেক বিনিয়োগ করছে। ফলে দুই দেশের মধ্যে সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং ক্রীড়া ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এর মাধ্যমে দুই দেশের জনগণের মধ্যকার সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করার একটি সুযোগ তৈরি হয়। পঞ্চম সমঝোতা স্মারকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ এবং কাতারের মধ্যে কূটনৈতিক প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে একে অপরকে সহযোগিতা করবে। বিশেষ করে কাতারের কূটনৈতিকরা বাংলাদেশে প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবে। 

এই পাঁচটি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারকের দিকে লক্ষ করলে বোঝা যাবে যে, বাংলাদেশ-কাতার সম্পর্ক কতটা ব্যাপকতা লাভ করেছে, কতটা গভীরতা অর্জন করেছে। এটি সম্ভব হয়েছে দুই দেশের শীর্ষ নেতৃত্বের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অতীতে কাতারে যে সফরগুলো করেছেন তার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফল হিসেবে আমরা দেখতে পাচ্ছি কাতারের আমিরের সফর এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে চুক্তি সম্পাদিত হওয়া। কাতারের আমির এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চুক্তি এবং সমঝোতা স্মারকগুলো স্বাক্ষরিত হওয়ার সময় সরাসরি উপস্থিত থেকেছেন। এই বিষয়গুলো একদিকে বাংলাদেশ-কাতার সম্পর্ককে শক্তিশালী করেছে এবং দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ভেতর একটা গতি এনে দিয়েছে। দৃশ্যমান অগ্রগতি নিশ্চিত করেছে। 

এ সফরের আরেকটি তাৎপর্যপূর্ণ দিক হলো বাংলাদেশ এবং কাতারের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের মধ্যে কূটনৈতিক ভিত্তি আরও শক্তিশালী হয়েছে। পৃথিবীর যেকোনো অঞ্চলে কূটনীতির মূল বিষয় হচ্ছে দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যকার রাজনৈতিক বোঝাপড়া এবং পারস্পরিক আস্থা। সেদিক থেকে কূটনৈতিক সম্পর্কের মূলে রয়েছে রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং পারস্পরিক আস্থা। গভীর আস্থা সম্পর্কের মধ্যে অনেক ধরনের সম্ভাবনা তৈরি করে, অনেক নতুন নতুন ক্ষেত্র তৈরি করতে পারে। সেটি আমরা দেখেছি এই দুই দেশের নেতৃত্বের মধ্যে। সরকারের যে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো রয়েছে তা বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে কাতার বাংলাদেশের পাশে থাকবে এবং বাংলাদেশ-কাতার সম্পর্কের কূটনৈতিক ভিত্তি শক্তিশালী হয়েছে। এই সফরে দুই দেশের সরকারপ্রধান আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে ব্যাপক আলোচনা করেছে এবং আরও বিভিন্ন বিষয়ে মতৈক্য প্রতিফলিত হয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টি কাতারের আমিরের কাছে তুলে ধরেছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। তিনি গাজা যুদ্ধের কথা তুলে ধরেছেন, গাজাতে গণহত্যা বন্ধ করার ব্যাপারে দুই দেশের মধ্যে যে আলোচনা হয়েছে সেটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

পাশাপাশি বর্তমান বিশ্ব বাস্তবতায় ইউক্রেনযুদ্ধ, বিভিন্ন অর্থনৈতিক সংকট এবং ইন্দোপ্যাসিফিক অঞ্চলের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুই দেশের মধ্যে মতবিনিময় হয়েছে। বর্তমান বিশ্বে যে ধরনের প্রতিযোগিতা আছে, যে ধরনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা আছে সেই বিষয়গুলো নিয়েও কথা বলেছে। বাংলাদেশ ও কাতার গ্লোবাল সাউথ বা বৈশ্বিক দক্ষিণের দেশ হিসেবে যেসব সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ আছে সেগুলো দ্রুত সমাধান করা, সেই সংকট, চ্যালেঞ্জ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য কথা বলেছে। ফলে দুই দেশের সম্পর্কের কূটনৈতিক ভিত্তি আরও শক্তিশালী হয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের উন্নয়ন কাতারের আমির সরাসরি প্রত্যক্ষ করেছেন এবং তিনি অত্যন্ত মুগ্ধ হয়েছেন যা তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রকাশ করেছেন। 

মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের একটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে যা হচ্ছে দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য। বাংলাদেশ থেকে লাখ লাখ অভিবাসী শ্রমিক মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে বিশেষ করে সৌদি আরব, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাতে কাজ করছে। যেহেতু অনেকটা অদক্ষ শ্রমিক হিসেবে কাজ কওে, ফলে বাংলাদেশকে সাধারণভাবে দারিদ্র্য বা পশ্চাৎপদতার বিষয়টি এ অঞ্চলের জনগণের মধ্যে বিশেষ প্রভাব বিস্তার করে।

সেদিক থেকে আমরা দেখতে পাচ্ছি বাংলাদেশ-কাতার সম্পর্ক একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করেছে। বিশেষকরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বারবার কাতার সফর এবং কাতারের আমিরের বাংলাদেশ সফরের মাধ্যমে পারস্পরিক সহযোগিতা বেড়েছে। এই সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ সম্পর্কে, বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্পর্কে, বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের ব্যাপক সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ-কাতার সম্পর্কের এই দিকটি এই সফরের মাধ্যমে উন্মোচিত হয়েছে। সার্বিকভাবে দুই দেশের সম্পর্ক একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। বাংলাদেশ-কাতার সম্পর্ককে পারস্পরিক স্বার্থে আরও কীভাবে শক্তিশালী করা যায় এবং যে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে তার বাস্তবায়ন করা এবং অতীতে আরও যে চুক্তি হয়েছে, বিশেষ করে বাংলাদেশ-কাতার এলএনজি চুক্তি বাস্তবায়ন করা এবং নতুন চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকগুলো বাস্তবায়নে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। 

বাংলাদেশের কূটনীতির এই বিষয়গুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা এবং বাস্তবায়নের জন্য নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে ক্রমাগত প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। বাংলাদেশ-কাতার সম্পর্ক শুধু দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের দ্বার উন্মোচন করেনি, উপসাগরীয় অঞ্চলে বাংলাদেশের কূটনীতিকে আরও শক্তিশালী করেছে। বাংলাদেশ-কাতার সম্পর্কের নতুন মাত্রা ও গতিশীলতা সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান ও বাহরাইনের সঙ্গে সম্পর্ককেও ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করবে। বস্তুত উপসাগরীয় অঞ্চলে বাংলাদেশ-কাতার সম্পর্ক নতুন একটি মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে, কারণ দুই দেশের শীর্ষ পর্যায়ে নেতৃত্বের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা এবং বিশ্বাসের মাত্রা অসাধারণ। কূটনৈতিক উদ্যোগের মাধ্যমে সম্পর্কটাকে কতটা গভীর করা যায়, কতটা বহুমাত্রিক করা যায় তার একটি অন্যতম নিদর্শন এই সম্পর্ক। বাংলাদেশ-কাতার সম্পর্ক ৫০ বছর অতিক্রম করেছে এবং আগামীতে আরও ৫০ বছরের রূপরেখা বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যাবে।

লেখক : অধ্যাপক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক

সময়ের আলো/জেডআই




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: কমলেশ রায়, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close