জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) সিন্ডিকেটে গৃহীত সিদ্ধান্তকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার আবু হাসানের বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ তারেক চৌধুরীর বিরুদ্ধে গবেষণা জালিয়াতি ও সহকর্মীর সঙ্গে অশোভন আচরণের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় গত ১ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সিন্ডিকেট সভায় অধ্যাপক তারেক চৌধুরীর বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ আমলে নিয়ে ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক সুফি মোস্তাফিজুর রহমানকে সভাপতি করে গঠিত এ কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক মো. শাহেদুর রশীদ ও বাংলা বিভাগের অধ্যাপক অনিরুদ্ধ কাহালি। এছাড়া, কমিটিতে সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্টার (প্রশাসন ২) এ বি এম আজিজুর রহমান। ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে এ কমিটিকে সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
তবে এই কমিটি গঠিত হলেও সদস্যদের কাছে এখনো চিঠি প্রেরণ করা হয়নি। বরং তদন্ত কমিটির বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়ে নিশ্চিত করলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার আবু হাসান তা অস্বীকার করেছেন।
আবু হাসান বলেন, সিন্ডিকেট সভায় এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. সুফি মোস্তাফিজুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এখন পর্যন্ত অফিসিয়াল ভাবে কোনো কাগজপত্র পাইনি, কোনো নির্দেশনা আসলে তারপরে কাজ শুরু করব।
সময়ের আলো/এএ/