প্রকাশ: সোমবার, ১ জানুয়ারি, ২০২৪, ৬:৪৭ পিএম (ভিজিট : ৮৩৮)
খণ্ডকালীন চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ইয়াসীর হিমেল নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)। জানা গেছে, আরাফাত হোসেন নামে এক ভুক্তভোগীর হোয়াটসঅ্যাপে নম্বরে চাকরির বিজ্ঞাপন দিয়ে একটি ক্ষুদেবার্তা (এসএমএস) পাঠায়। পরে ধাপে ধাপে গুগলম্যাপ রিভিউ, অনলাইন ভোটিং সিস্টেম আপগ্রেডেশন করার পর প্রতারক চক্রটি তার বিকাশে ৪৫০ টাকা পাঠায়।
রোববার (৩১ ডিসেম্বর) নেত্রকোনার কেন্দুয়া সাউদপাড়া এলাকা থেকে অনলাইনে খণ্ডকালীন চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে এটিইউ। তার কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত তিনটি মোবাইল, ১০টি সিমকার্ড জব্দ করা হয়।
সোমবার (১ জানুয়ারি) এটিইউয়ের মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস উইংয়ের পুলিশ সুপার (এসপি) ব্যারিস্টার মাহফুজুল আলম রাসেল এতথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, এই ঘটনায় রামপুরা থানায় একটি মামলা করে ভুক্তভোগী আরাফাত। সেই মামলার তদন্তে নেমে এই চক্রের সন্ধান পাওয়া যায়।
মাহফুজুল আলম রাসেল বলেন, প্রথম ধাপ সম্পন্ন হওয়ার পর আরাফাতকে তারা একটি টেলিগ্রাম আইডিতে যুক্ত করা হয়। ২৯ অক্টোবর প্রতারকদের কথা মতো তাদের বিকাশ নম্বরে দুই হাজার টাকা পাঠায়। পর ভুক্তভোগীর বিকাশে দুই হাজার ৮০০ টাকা লভ্যাংশসহ আসে। এভাবে লভ্যাংশের লোভ দেখিয়ে তার কাছ থেকে দুইধাপে আরও ২৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এই টাকার লভ্যাংশ চাইলে প্রতারকরা জানায়, লভ্যাংশসহ পূর্বের টাকা ফেরত পেতে হলে তাকে আরও ৩৬ হাজার টাকা পাঠাতে হবে। টাকা ও লভ্যাংশের আশায় আরাফাত প্রতারক চক্রের ব্যাংক হিসাব নম্বরে এক লাখ ৪৯ হাজার টাকা পাঠানোর পর যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
আসামি শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হয়। প্রতারক চক্রের সদস্য ইয়াসীর হিমেল দীর্ঘদিন ধরে এই কাজ করে আসছিল। তাকে রামপুরা থানার মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
সময়ের আলো/এম