ই-পেপার বৃহস্পতিবার ২ মে ২০২৪
বৃহস্পতিবার ২ মে ২০২৪

খাদ্যপণ্য ও সারের চাহিদা নিরূপণ করবে সরকার
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০২৩, ৮:৫০ এএম  (ভিজিট : ২১৩)
সামনে আসছে পবিত্র রমজান মাস। এই মাসকে সামনে রেখে খাদ্যশস্য, ভোজ্য তেল ও সারের চাহিদা নিরূপণ করার নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের। একই সঙ্গে আমদানিযোগ্য পরিমাণও নির্ধারণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও সংশোধিত এডিপি নিয়ে বেশ কিছু দিকনির্দেশনা নেওয়া হয়েছে। গত ৮ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে এক বিশেষ পর্যালোচনা সভায় এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।

জানা গেছে, সভার শুরুতে সর্বোচ্চ বরাদ্দপ্রাপ্ত ১০টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতির ওপর একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। পাশাপাশি দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ওপর একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়েছে।

সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা বিশ্লেষণ করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও শিল্পের সংস্কারসহ প্রধানমন্ত্রীর যেসব নির্দেশনা প্রদান করেছেন তা দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে হবে। বিদ্যুতের উৎপাদন ব্যয় ও ভোক্তা পর্যায়ের ইউনিট মূল্য সমন্বয়ের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর জন্য একটি অবস্থানপত্র তৈরি করা হবে।

সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগ এক সপ্তাহের মধ্যে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ নিয়ে একটি পর্যালোচনা সভা করা হবে। সেই সভায় সংশোধিত এডিপি তৈরির ক্ষেত্রে একটি বাফার অঙ্ক নিরূপণ করতে হবে।

সভায় আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, পরিকল্পনা বিভাগ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে ‘ফিজিবিলিটি স্টাডি’ তৈরি সংক্রান্ত একটি গাইডলাইন প্রস্তুত করবে। ডিপিপি প্রত্যয়ন ও অগ্রায়নের ক্ষেত্রে মধ্য বাজেট কাঠামো সিলিং অনুসরণ করতে হবে।

সভায় বলা হয়, কোনো কোনো মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অসংখ্য প্রকল্প চলমান রয়েছে। এর মধ্যে বেশ কিছু প্রকল্প বছরের পর বছর মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে চলমান প্রকল্পগুলো শেষ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। যেসব প্রকল্প এখনও শেষ হয়নি সেসব প্রকল্প শেষ না করে নতুন প্রকল্প প্রক্রিয়াকরণ করার ব্যাপারে আরও বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন।

সভায় উল্লেখ করা হয়, চিনি, সয়াবিন, ডিজেলের আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক ছাড়ে সার্বিকভাবে আমদানি কমে যাওয়ায় রাজস্ব আয় কমে গেছে। অন্যদিকে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, ডলারের বিপরীতে টাকার মান অবমূল্যায়নের কারণে ব্যয় বেড়েছে। এমনকি ভর্তুকির কারণেও ব্যয় বেড়েছে। যেসব পণ্য জরুরি নয় এমন সব পণ্য চিহ্নিত করতে হবে। একই সঙ্গে রাজস্ব ব্যয় কমিয়ে রাজস্ব আয়ের পথ বের করা প্রয়োজন।

সভায় ছোট ছোট খাত থেকেও রাজস্ব ব্যয় কমানোর ক্ষেত্রে আলাদা ও সম্মিলিতভাবে দায়িত্বশীলতা প্রদর্শন করার তাগিদ দেওয়া হয়। প্রকল্পের বিপরীতে বৈদেশিক সহায়তার অংশ দ্রুত ছাড় করতে বলা হয়েছে।

এদিকে সভা সূত্রে জানা গেছে, পরিকল্পনা বিভাগ সবার সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে ফিজিবিলিটি স্টাডি সংক্রান্ত একটি গাইডলাইন তৈরি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একজনকে একাধিক প্রকল্পের পরিচালক দায়িত্ব প্রদান পরিহার করতে হবে। প্রকল্প পরিচালক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রকল্প ব্যবস্থাপনা, সরকারি ক্রয় ও অর্থ ব্যবস্থাপনার অভিজ্ঞতা বিবেচনায় নিতে হবে। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের বেশিরভাগ প্রকল্পের অঙ্গ হিসেবে রেস্ট হাউস নির্মাণ অন্তর্ভুক্ত থাকে। চলমান ও আগামীতে নেওয়া প্রকল্প থেকে রেস্ট হাউস নির্মাণ বাদ দিতে বলা হয়েছে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য সচিব তপনকান্তি ঘোষ, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম, অর্থ বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমান, পরিকল্পনা বিভাগের সত্যজিত কর্মকার, খাদ্য সচিব মো. ইসমাইল হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলায়মান খান, জ্বালানি ও খনিজ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়রুজজ্জামান মজুমদার, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান এনডিসি প্রমুখ।




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: কমলেশ রায়, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close