প্রকাশ: শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম (ভিজিট : ৮১৫৬)
প্রজাপতি
শাহীন রেজা
রঙ নিয়ে প্রজাপতি
ঝিলমিল উড়ছে
তার তাপে পাপগুলো
অনাবিল পুড়ছে।
ডানা জুড়ে শোণিতের
কারুণাভ স্মৃতিটা
কেড়ে নেয় কবিতার
অমলিন প্রীতিটা।
মুক্তিরই দিন এলে
জমিনের বুকেতে
ঘুম যায় প্রজাপতি
বিজয়ের সুখেতে।
প্রজাপতি মানে জয়
লাল নীল সবুজে
ভালোবাসা আঁকা তার
বুকভরা অবুঝে।
ষোলোই ডিসেম্বর
মিলন সরকার
বাঙালিদের দমন করতে
খুনি আইয়ুব খান
দম্ভ ভরে বড়াই করে
চালায় মেশিনগান।
করুক যত দম্ভ তারা
করুক যত বড়াই
আমরা হলাম বীরের জাতি
আমরা কি আর ডরাই।
কিন্তু ওরা ভেবেছিল
আমরা হলাম বোকা
ছল-চাতুরী করে মোদের
দেবে তারা ধোঁকা।
আমরা ঠিকই ধরে ফেলি
ওদের চালাকি
ধরা খেয়ে বুঝল শেষে
ওরে, জ¦ালা কী!
পালানোর জায়গা নাই আর
বোঝে সকল জন
ষোলোই ডিসেম্বর করে তাই
আত্মসমর্পণ।
জয়ের হাসি
আলাউদ্দিন হোসেন
দীর্ঘ ন’মাস যুদ্ধ করে
ফুটল মুখে হাসি
রক্তক্ষয়ের বিনিময়ে
বাজল জয়ের বাঁশি।
শিশু-কিশোর বৃদ্ধ শ্রমিক
হাসল কোটি কৃষাণ
বিজয়মাখা হাসির সুরে
বাজল জয়ের নিশান।
রক্তে মাখা বিজয় নিশান
সবার মুখে হাসি
মুক্ত স্বাধীন রক্তে রঙিন
বড্ড ভালোবাসি।
বিজয় মানে
নাহিদ নজরুল
বিজয় মানে হাসি খুশি
আনন্দ উল্লাস
বিজয় মানে স্বদেশভ‚মে
স্বাধীন বসবাস।
বিজয় মানে মনের কথা
যখন তখন বলা
বিজয় মানে নির্ভয়ে রোজ
নিজের পথে চলা।
বিজয় মানে মুক্ত জীবন
নয় পরাধীন নয়
বিজয় মানে অত্যাচারীর
নেই কোনো আর ভয়।
বিজয়ের সুরুয
উৎপলকান্তি বড়ুয়া
কতটা সময় কতকাল ধরে
মিছে সুরে গেয়ে গান
বারবার শুধু বারবার আহা
ঘুঘু খেয়ে যায় ধান।
সকাল দুপুর রাতে আর দিনে
অনিয়ম করে করে
আমার ক্ষেতের ফসলেই কেন
অন্যের গোলা ভরে!
খোকা ভাবে, নয় এমনটি আর
হতে পারে নাকোÑনা না
তাইতো সে করে সারা দিন ভরে
প্রতিবাদ একটানা।
নীতি ও নিয়মে প্রতিরোধ-ঝড়ে
কাটে ঘনঘোর কাল,
সেই পথ ধরে বিজয়ের সুরুয
পুব দিকে ওঠে লাল।
বিজয়ের পতাকা
নূর মোহাম্মদ দীন
ন’মাস ধরে যুদ্ধ করে
রক্ত দিলাম বেশ,
তারপরই তো পেলাম আমরা
স্বাধীন একটি দেশ।
সবুজ মাঝে বৃত্ত লালে
জাগল বাংলাদেশ
বিজয় কেতন উড়ল এবং
শত্রæ হলো শেষ।
মুক্তিসেনা বীর বাঙালি
করল না তো ভয়,
লাল-সবুজের পতাকা তাই
বিজয় নিশান হয়।
সেই পতাকা উড়ছে আজও
বাংলার আকাশে
বিজয়ধ্বনি ভাসছে আজও
মুক্ত বাতাসে।
ষোলোই ডিসেম্বর
শরীফ সাথী
লাল সবুজের এই পতাকা
ষোলোই ডিসেম্বরে
সারা বাংলা ধন্য করতে
ওই আকাশে ওড়ে।
মুক্ত পাখির মতো আজি
বিজয়ের গান গাই,
স্বাধীন মনে হাসিখুশির
বাতাসে ঘ্রাণ পাই।
বিজয় সুখ
বনশ্রী বড়ুয়া
বাংলাদেশের পাখিরা আজ
গাইছে কেন গান?
দোয়েল শ্যামার মনের ঘরে
আসলো খুশির বান।
বাংলাদেশের নদীতে আজ
কোন সে জলের ধারা?
জোয়ার-ভাটায় সুরের খেলা
আনন্দে আত্মহারা।
বাংলাদেশের সবুজ মাঠে
সোনার বরন হাসে
বিজয় সুখে সোনালি ধান
মাঠের পরে ভাসে।
বিজয় নিশান
মোহাম্মদ নূর আলম গন্ধী
বিজয় নিশান ওড়ে আজও
উড়বে চিরদিন
শোধ হবে না শহীদ ভাইয়ের
আত্মত্যাগ ও ঋণ।
জীবন দিয়ে ভাঙলে সেদিন
পাকসেনাদের ঘাঁটি
রক্তে ভেজা এই না মাটি
সোনার চেয়ে খাঁটি।
বিশ^বাসী দেখল চেয়ে
বীর বাঙালির বল
মুক্ত স্বাধীন মানচিত্র ও
বিজয় নামের ফল।
বিজয় মানে
মহিউদ্দিন বিন্ জুবায়েদ
বিজয় মানে খুকুর হাসি
চাঁদের মতো মুখ,
বিজয় মানে হাজার কথা
খুঁজে পাওয়া সুখ।
বিজয় মানে ভোরের রবি
শিশির ভেজা ঘাস,
বিজয় মানে স্বাধীন মনে
একটি দেশে বাস।
বিজয় মানে লাল সবুজে
ছবি আঁকার দেশ
বিজয় মানে পায়রা ওড়া
কোমল পরিবেশ।
তারাই স্বপ্ন চাষা
বাসুদেব খাস্তগীর
সোনার এদেশে আসবেই ঘুরে
বিজয়ের এই দিন
ইতিহাসে তাই বিজয় দিবস
চেতনাতে অমলিন।
আসবে না কারা জানো নাকি খোকা
এদেশ মাটির কোলে
তারাই এনেছে স্বাধীন দেশ
যুদ্ধের ডামাডোলে।
তাদের এ ঋণ কীভাবে শুধব
বলো আছে কোন পথ
রচিয়েছে তারা স্বপ্ন দেখার
আলোকিত ভবিষ্যৎ।
বলেছে খোকন নাইবা আসুক
তারাই স্বপ্ন চাষা
ঋণ শোধ হয় শহীদের প্রতি
যদি থাকে ভালোবাসা।
বিজয়ের মাসে
সুফিয়ান আহমদ চৌধুরী
স্বাধীনতা গানে গানে
টানে মন টানে
পতাকাটা ওড়ে ওই
দেশ সুখ বানে।
মুক্তিসেনা আনে জয়
বীরবেশে লড়ে
সাহসেতে লড়ে কী যে
যুদ্ধ মাঠে করে।
সূর্য লাল নীলাকাশে
প্রাণ ভরে হাসি
বুক জুড়ে প্রিয় দেশ
কত ভালোবাসি।
সবুজের শোভা ভাসে
চোখে চোখে ভাসে
মনে পড়ে যুদ্ধদিন
বিজয়ের মাসে।
পাখি ওড়ে ডানা মেলে
পতাকাটা হাতে
বিজয়ের সুখে আজ
প্রিয় দেশ মাতে।
মুক্ত আকাশ
মাহাথির মোবারক
বিজয় মানে হাসি খুশি
বিজয় মানে সুখ
বিজয় মানে বীর বাঙালির
রঙিন করা মুখ।
বিজয় মানে মুক্ত আকাশ মুক্ত বাতাস
মুক্ত জীবন গড়া
বিজয় মানে হিংসা বিদ্বেষ বাদ দিয়ে সব
এদেশটাকে গড়া।
বিজয় মানে স্বাধীন দেশে
স্বাধীনভাবে চলা
বিজয় মানে বুক ফুলিয়ে
বাংলা কথা বলা।
বিজয় মানে দুঃখ কষ্টের
থাকল না আর লেশ
বিজয় মানে রক্ত দিয়ে কেনা হলো
সোনার বাংলাদেশ।