ই-পেপার রোববার ৫ মে ২০২৪
রোববার ৫ মে ২০২৪

৮০ ভাগ শ্রমিক চলে এসেছে, তাদের দিয়েই কারখানা চলবে: বিজিএমইএ
প্রকাশ: শনিবার, ৩১ জুলাই, ২০২১, ১:০৮ এএম  (ভিজিট : ৩০৩)
মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে বৈঠকের পর দিনই শুক্রবার সরকার জানাল আগামীকাল রোববার থেকে খুলবে পোশাক শিল্পসহ সব ধরনের রফতানিমুখী শিল্প-কারখানা। প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, ঈদের ছুটিতে গ্রামে থাকা শ্রমিকরা এক দিনের মধ্যে কীভাবে আসবে, আর কাজেই বা কীভাবে যোগ দেবে।

এ বিষয়ে বিজিএমইএর সহসভাপতি শহিদুল্লাহ আজিম সময়ের আলোকে বলেন, ঈদের ছুটিতে যেসব শ্রমিক বাড়ি গেছে তাদের ৮০ ভাগই কোনো না কোনোভাবে ঢাকায় বা আশপাশের জেলায় চলে এসেছে। তাদের দিয়েই রোববার থেকে কারখানা চালানো হবে।

তিনি বলেন, এমনিতে এবার অনেক শ্রমিক ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়ি যায়নি। যারা গেছে তাদের অধিকাংশই চলে এসেছে। তবে এখনও ২০ শতাংশের মতো শ্রমিক গ্রামের বাড়িতে আছে। তাদের এখনই বা শনিবারের মধ্যেই চলে আসতে হবে বিষয়টি তেমন নয়। লকডাউন প্রত্যাহার হলে গাড়ি চলাচল শুরু হলে তাদের এলেই চলবে।

রোববার থেকে যারা কাজে যোগ দিতে পারবে না, তাদের চাকরি থাকবে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোনো শ্রমিকের চাকরি যাবে না। লকডাউন শেষে শ্রমিকরা যেদিন যখন আসবে তখনই কাজে যোগ দিতে পারবে।

এ বিষয়ে বিকেএমইএর প্রথম সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম সময়ের আলোকে বলেন, ব্যবসায়ীদের দাবির প্রেক্ষিতে সরকার শিল্প-কারখানা খুলে দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে। এ জন্য সরকারকে পোশাক শিল্প পরিবারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তিনি বলেন, নিট শিল্পের শ্রমিকরাও এখন কারখানার আশপাশেই চলে এসেছে। যারা এখন কারখানার আশপাশে আছে তাদের নিয়েই কারখানা চালাব আমরা। তবে লকডাউন যদি আরও বাড়ানো হয়, তা হলে গ্রামে থাকা শ্রমিকদের আনার বিষয়ে বিকল্প কোনো ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে আমরা বিষয়টি নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করব।

এদিকে শ্রমিক নেতারা বলছেন, রোববার থেকে কারখানা খুললেও অনেক শ্রমিকের চাকরি ও বেতন ঝুঁকিতে পড়ে যাবে। অনেক শিল্পমালিক এই সুযোগে শ্রমিক ছাঁটাই করবে এবং যারা রোববার কাজে যোগ দিতে পারবে না তাদের অনেককেই আর চাকরিতে যোগ দিতে দেওয়া হবে না এবং তারা হয়তো বেতনও পাবে না। এ বিষয়ে বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল বাংলাদেশের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান সময়ের আলোকে বলেন, লকডাউনের কারণে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় অনেক শ্রমিক এখনও গ্রামে আছে। এসব শ্রমিক কাজে যোগ দিতে ব্যর্থ হলে তাদের যেন চাকরিচ্যুত না করা হয় এবং তাদের মজুরি যেন কর্তন করা না হয়- মালিকদের প্রতি আমাদের এটি অনুরোধ।

উল্লেখ্য, করোনা মহামারি রোধে ঈদের পর ২৩ জুলাই থেকে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করার পর থেকে সব শিল্প-কলকারখানা বন্ধ রাখা হয়। আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ চলাকালে শিল্প-কলকারখানা বন্ধ রাখার কথা ছিল।

/জেডও/




সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: কমলেশ রায়, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close