ই-পেপার বৃহস্পতিবার ২ মে ২০২৪
বৃহস্পতিবার ২ মে ২০২৪

কথা রাখেনি চীন
প্রকাশ: বুধবার, ৮ জুলাই, ২০২০, ১২:০০ এএম  (ভিজিট : ১৬২)
ফরিদুল আলম
১৯৯৭ সালের ১ জুলাই হংকংকে যখন ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে মুক্তি দিয়ে চীনের কাছে হস্তান্তর করা হয়, বিষয়টি ছিল শর্তসাপেক্ষ। ১৯৮৪ সালে এক যৌথ ঘোষণায় ৯৯ বছরের লিজ শেষে যুক্তরাজ্য হংকংকে চীনের কাছে হস্তান্তর করতে সম্মত হয় এই শর্তে যে, এই অঞ্চলটি চীনের প্রসাসনিক ব্যবস্থার অধীনে পরবর্তী ৫০ বছরের জন্য একটি বিশেষায়িত অঞ্চলের মর্যাদা ভোগ করবে, যার বলে হংকং প্রশাসনিকভাবে চীনের শাসনাধীন থাকলেও, প্রতিরক্ষা এবং পররাষ্ট্রনীতি ব্যতীত অপরাপর সব বিষয়ে হংকং পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করবে। এখানে উল্লেখ্য যে, আনুষ্ঠানিকভাবে হংকং ৯৯ বছরের জন্য যুক্তরাজ্যের কাছে লিজে থাকলেও এটি মূলত চীনের হাতছাড়া হয় ১৮৪২ সালের প্রথম আফিম যুদ্ধের সময় থেকে।
সেই হিসাবে হংকং প্রায় ১৫৫ বছরের জন্য ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনে পরিচালিত হয়। এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে পুরোদস্তুর পুঁজিবাদী আচরণ ধারণ করা এবং অঞ্চলটির মানুষের মধ্যে ব্রিটিশ ধাঁচের মনমানসিকতা চীনের জন্য অস্বস্তির হলেও ভূ-কৌশলগত কারণে এটি চীনের কাছে বিশেষ গুরুত্বের দাবিদার। দক্ষিণ চীন সাগর অভিমুখী শেনজেন নদীর পার ঘেঁষে ১ হাজার বর্গকিলোমিটার আয়তনের অঞ্চলটিতে ৭৫ লাখ মানুষের বসবাস। জনসংখ্যার ঘনত্বের দিক দিয়ে বেশি হলেও মূলত এর বন্দরটির কল্যাণে এই অঞ্চলটি বিশ্বের কাছে বিশেষ মর্যাদার দাবিদারও বটে। অনেক আগে থেকেই এই বন্দরকে কেন্দ্র করে সারা বিশ্ব থেকেই ব্যবসায়ীদের আনাগোনা এবং পণ্য পরিবহনের সুবিধা, ইত্যকার বিষয় এটিকে বিশ্বের অন্যতম ব্যবসাকেন্দ্রে পরিণত করেছে। তা ছাড়া অধিবাসীদের মধ্যে ৯২ শতাংশই চীনা বংশোদ্ভূত। এর ফলে ইতোমধ্যে পুঁজিবাদী অর্থনীতি ধারণ করা হংকং চীন সরকারের বিশেষ অঞ্চলের মর্যাদা নিয়ে স্বায়ত্তশাসন নিয়ে চালিত হওয়ার ক্ষেত্রে পূর্ণ স্বাধীনতার নিশ্চয়তা লাভ করে এবং এর মধ্য দিয়ে চীনে ‘এক দেশ, দুই নীতি’ প্রথা চালু হয়। চীন সংবিধান সংশোধন করে এবং সংবিধানের ৩১নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী অঞ্চলটির নামকরণ করা হয় হংকং স্পেশাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ রিজিওন অব দ্য পিপলস রিপাবলিক অব চায়না।
সাম্প্রতিক সময়ে চীন সরকারের এক সিদ্ধান্তে পাল্টে গেছে সমগ্র দৃশ্যপট। ২৮ জুন চীনের পার্লামেন্টে নতুন নিরাপত্তা আইন হয় এবং স্বল্পতম সময়ের মধ্যে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং কর্তৃক তা অনুমোদনের পর ১ জুলাই থেকে কার্যকর হয়েছে। এখানে একটি বিষয় কাকতালীয় নাকি পরিকল্পিত সেটা নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে, আর তা হচ্ছে এমন একদিন থেকে নতুন এবং অনেকটা বিতর্কিত এই আইন কার্যকর হতে শুরু করল যে দিনটিতে ১৯৯৭ সালে হংকংকে চীনের কাছে ফিরিয়ে দেয় যুক্তরাজ্য। এক্ষেত্রে আমরা কিছুটা পেছন ফিরে দেখতে পারি। বেশি না আমরা যদি ২০১৯ সালের পরিস্থিতি কিছুটা বিশ্লেষণ করি তাহলে হয়তো আনুমান করতে সক্ষম হব যে সম্ভবত সেই সময় থেকেই চীনের বর্তমান কমিউনিস্ট সরকার মোটামোটি সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছিল যে হংকংয়ের লাগাম টেনে ধরবে তারা, নয়তো চিরতরে এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতছাড়া হয়ে যাবে। গত বছর প্রায় একই সময় টানা ৬ মাস ধরে চলা প্রতিবাদ কর্মসূচি দমন করতে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মিসহ সেখানে চীন সমর্থিত সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীকে ব্যাপক ঝক্কি পোহাতে হয়েছিল।
বিষয়টি ছিল বিতর্কিত প্রত্যার্পণ আইনকে কেন্দ্র করে, যার মাধ্যমে চীন সরকারের ইচ্ছানুযায়ী আইন ভঙ্গকারীদের চীনের কাছে প্রত্যার্পণ করবে হংকং সরকার। সে সময়ের ব্যাপক বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে হংকং এর চীন সমর্থিত প্রধান নির্বাহী ল্যাম বিলটিকে প্রত্যাহার করে নিতে সম্মত হলেও প্রতিবাদকারীদের আন্দোলন দমন করা যায়নি। সেই সময় প্রতিবাদের অন্যতম মুখপাত্র ২২ বছর বয়সি জোশুয়া ওং দাবি করেন যে ক্যারি ল্যামকে সরে যেতে হবে, হংকংয়ের নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা নেই তার। এর আগেও হংকং থেকে বেইজিং সরকারের প্রতিনিধিদের সরিয়ে দেওয়ার দাবিতে ২০১৪ সালে ৭৯ দিনব্যাপী এক আন্দোলন কর্মসূচি পালনকালে আন্দোলনের চেনা মুখ হয়ে ওঠেন জোশুয়া ওং। সার্বিক বিষয় বিশ্লেষণে ২০১৯ সালের ঘটনা থেকে বেইজিংয়ের কাছে এমনটাই প্রতীয়মান হয়েছিল যে হংকং এ স্বাধীনতার দাবি যেভাবে দিনে দিনে পরিপক্কতা লাভ করছে, এটিকে ছেঁটে দেওয়ার এখনই মুখ্য সময়। সেই বিবেচনায় তারা হয়তো আজ থেকে এক বছর আগে এমন দিনটিকেই বেছে নিয়ে এই বার্তাই তাদের কাছে পৌঁছে দিতে চেয়েছে যে চীনের প্রশাসনিক কর্তৃত্ব থেকে হংকংকে আলাদা করার পরিণতি কতটা ভয়াবহ হতে পারে এবং এক্ষেত্রে আন্দোলনকারী শক্তি যে নিছক দুর্বল সেটাও বুঝিয়ে দেওয়া।
চীনের পার্লামেন্টে নতুন এই নিরাপত্তা আইন পাসের পর থেকে হংকংয়ের পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। ইতোমধ্যে কয়েকশ বিক্ষোভকারী আটক হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে। বিক্ষোভকারীদের এই বিক্ষোভের মুল শঙ্কা হচ্ছে এ ধরনের আইন পাশের মধ্য দিয়ে কার্যত চীন হংকংয়ের বিশেষ মর্যাদা খর্ব করার পথে হাঁটছে এবং অদূর ভবিষ্যতে হংকং যে স্বায়ত্তশাসন ভোগ করছে তা হয়তো রদ করে অঞ্চলটিকে পাকাপোক্তভাবে চীনের মূল ভূখণ্ডের অংশ করে নেওয়া হবে। চীন সরকারের পক্ষ থেকে অবশ্য আশ্বস্ত করে বলা হয়েছে যে অঞ্চলটির আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার স্বার্থেই এ ধরনের আইন পাস করা হয়েছে, যাতে করে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং ব্যবসা বাণিজ্যের পরিবেশ বিঘ্নিত না হয়।
তাদের ভাষায়, বিচ্ছিন্নতাবাদ, বৈধ সরকার পতনে অন্তর্ঘাতমূলক কার্যক্রম, সন্ত্রাসবাদ ও বিদেশি হস্তক্ষেপ মোকাবিলায় এ আইনের অনুমোদন দিয়েছে পার্লামেন্ট। অন্যদিকে গণতন্ত্রপন্থিদের দাবি, এ আইন অঞ্চলটির বাসিন্দাদের দীর্ঘদিন ধরে ভোগ করে আসা রাজনৈতিক স্বাধীনতার পরিসমাপ্তি ঘটাবে। এখানে একটি কথা বলে রাখা আবশ্যক যে তত্ত্বগতভাবে পর্যালোচনা করলে আপাতদৃষ্টিতে এই বিশেষ নিরাপত্তা আইনটি হংকংকে প্রদেয় বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলের সুবিধার সঙ্গে সাংঘর্ষিক মনে করার কারণ নেই। তবে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণে চীন কিন্তু বর্তমানে এক ধরনের সঙ্কটময় সময় অতিক্রম করছে। এই অবস্থায় বিশ্ববাণিজ্যের অন্যতম কেন্দ্র হিসেবে পরিগণিত হংকংয়ের চলমান আন্দোলন ভবিষ্যতে এই অঞ্চলটিতে যেন তার কর্তৃত্বকে খর্ব করে আর্থিকভাবে নতুন কোনো চাপ সৃষ্টি করতে না পারে সে দিকটি বিবেচনায় জনমনে এই ভয় ঢুকিয়ে দেওয়া যে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের ফলে আন্দোলনকারী বা আন্দোলনকারীদের যাবজ্জীবন পর্যন্ত কারাদণ্ড ভোগ করতে হতে পারে। এক্ষেত্রে হয়তো নিকট ভবিষ্যতে এ ধরনের কিছু সাজা কার্যকরের মধ্য দিয়ে চীন নিজের অবস্থানকে আরও স্পষ্ট করে দেবে।
১৯৯৭ সালে যুক্তরাজ্য হংকংকে চীনের হাতে তুলে দেওয়ার পর থেকেই জাতীয় নিরাপত্তা আইন পাসের দাবি ছিল বেইজিংয়ের। হংকংয়ের নেতারা সেই চেষ্টাও করেছিলেন, কিন্তু জনতার বাধার মুখে তা আর পাস করতে পারেননি। ২০১৯ সালের পরিবর্তিত পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে শেষ পর্যন্ত অধৈর্য হয়ে ২২ মে আইন প্রণয়নের দায়িত্ব নিজের হাতে তুলে নেয় চীন সরকার। হংকংয়ের স্বাধীন আইন ব্যবস্থা থাকলেও তাদের ক্ষুদ্র-সংবিধানে এ রকম একটি সুযোগ রাখা ছিল। ফলে বেইজিংয়ের হস্তক্ষেপে বেশি কিছু করার ছিল না হংকংয়ের নেতাদের। নতুন আইনে বর্ণিত চারটি অপরাধ হলোÑ বিচ্ছিন্নতা দাবি, কেন্দ্রীয় চীন সরকারের বিরোধিতা, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং জাতীয় সুরক্ষা বিপন্ন করতে বিদেশিদের সঙ্গে জোট বাঁধা। এখানে আগেই উল্লেখ করেছি যে গত বছরের ঘটনা বেইজিং সরকারের ভেতর এক ধরনের বোধদয়ের জন্ম দেওয়ার পাশাপাশি নতুন এই আইনটি করতে একটা মোক্ষম সুযোগও করে দিয়েছে। আক্ষরিক অর্থে এটি একটি নিরাপত্তা আইন হলেও আরও কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে এর ভেতর, যার ফলে এখানে প্রচ্ছন্নভাবে চীনের কর্তৃত্ববাদী চরিত্রকে আরও স্পষ্ট হয়ে উঠবে। আইনটি মূল ভূখণ্ডের চীনা কর্মকর্তাদের প্রথমবারের মতো হংকংয়ে কাজ করার অনুমতি দিয়েছে। এর ফলে হংকংয়ের স্থানীয় আইন ও সম্প্রদায়ের পাশাপাশি বিদেশি নাগরিকদের ওপরও প্রভাব বিস্তারের ক্ষমতা পেয়েছে বেইজিং। হংকংয়ের স্বাধীনতা দাবি এখন অপরাধ বলে বিবেচিত হবে। বিক্ষোভের সময় সরকারি সম্পত্তি নষ্ট হলে তা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বলে ধরা হবে।
তা ছাড়া হংকংয়ে জাতীয় নিরাপত্তা কার্যালয় স্থাপন করবে বেইজিং, এটি পরিচালনা করবেন চীনের মূল ভূখণ্ডের কর্মকর্তারা। তারা শহরটিতে আইনের শাসন পরিচালনা করবেন এবং তাদের কাজ হংকংয়ের বিচার ব্যবস্থার অধীনে থাকবে না। হংকং সরকার নিজস্ব জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি গঠন করবে, সেখানে বেইজিং নিযুক্ত একজন পরামর্শক থাকবেন। আইনিভাবে তাদের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করা যাবে না। হংকংয়ের আদালত জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক ঘটনাগুলো দেখাশোনা করবে, তবে বিশেষ ক্ষেত্রে বেইজিং তাদের ওপর হস্তক্ষেপ করতে পারবে।
আইনটি হংকংয়ে যেকোনো মানুষের জন্য, অর্থাৎ বিদেশিদের জন্যও প্রযোজ্য। কেউ বিদেশে আইন ভঙ্গ করলেও তিনি যখন হংকং আসবেন, তখন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নতুন আইনে হংকংয়ের ওপর বেইজিংয়ের প্রভাব ব্যাপকভাবে বাড়ানো হয়েছে। এতে হংকংয়ের রাজনৈতিক স্বাধীনতা হরণের আশঙ্কা করছেন সমালোচকরা। অনেকের দাবি, বিদ্রোহীদের দমনে এই আইনের ব্যবহার করবে চীন। চীনের মূল ভূখণ্ডে গণতন্ত্রকামী, মানবাধিকার কর্মী, আইনজীবী ও সাংবাদিকদের চাপে রাখতে জাতীয় নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করে বেইজিং। হংকংয়ে এ ধরনের ঘটনা এতদিন না শোনা গেলেও নতুন আইনের পর পরিস্থিতি বদলে যেতে পারে।
সার্বিক পরিস্থিতির পর্যবেক্ষণে বোঝা যাচ্ছে যে, চীন কার্যত হংকংকে তাদের কাছে হস্তান্তরের পূর্বে প্রদত্ত শর্ত থেকে সরে এসেছে। এর বাইরে এখন থেকে চীনের অভ্যন্তরে নাগরিকদের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় আইন যেভাবে প্রয়োগ হয়ে আসছিল সেটি হংকংয়ের মানুষদের ক্ষেত্রেও একইভাবে প্রযোজ্য হতে যাচ্ছে। এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা নেতারা হংকংয়ের স্বাধীনতাকামীদের পক্ষে স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছেন। মার্কিন সরকার হংকংকে প্রদত্ত বাণিজ্য সুবিধা বাতিল করেছে। জনগণের ওপর দমন পীড়নের সম্ভাবনার বিষয়টি মাথায় রেখে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ইতোমধ্যে সাড়ে ৩ লাখ ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী হংকংয়ের বাসিন্দাসহ মোট ৩০ লাখ মানুষকে আগামী ৫ বছর সময় ব্রিটেনে বসবাসঅন্তে সে দেশের নাগরিকত্ব প্রদানের ঘোষণা দিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে  চীনের কর্মকাণ্ডকে পরোক্ষভাবে মেনে নেওয়া হলেও চীন এতদিন ধরে হংকং বন্দর ব্যবহারের মধ্য দিয়ে যে সুবিধা অর্জন করে আসছিল সেক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বড় ধরনের হোঁচট খেতে পারে।
বাণিজ্য ও আর্থিক দুই দিক থেকেই হংকং চীনের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৭-১৮ সালে চীন ১২৫ বিলিয়ন ডলার সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ পেয়েছেÑ এর মধ্যে ৯৯ বিলিয়ন ডলারই এসেছে হংকংয়ের মাধ্যমে। আইনের শাসন ও স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা চীনে বিনিয়োগে আগ্রহী কোম্পানিগুলোর কাছে হংকংকে নিরাপদ জায়গায় পরিণত করেছে। ২০১৮ সালে ৬০ শতাংশ কোম্পানি আইপিও খুলেছে হংকংয়ের শেয়ারবাজারে। এই বিষয়গুলো বিবেচনায় চীনের দিক থেকে চাপিয়ে দেওয়া কর্তৃত্ববাদী মনোভাব কার্যত আগামী দিনগুলোতে চীনের অর্থনীতির জন্য একটা বড় ধাক্কা হিসেবে আবির্ভূত হতে যাচ্ছে। আর মাত্র ২৩ বছরের মধ্যে কথা না রেখে নিজের প্রতিশ্রুতি থেকে সরে এসে বিশ্বের সামনে হংকংয়ের স্বাধীনতার দাবিকেই আরও জোরালো করা হলো।

ষ সহযোগী অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়






সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: কমলেশ রায়, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close