ই-পেপার শুক্রবার ৩ মে ২০২৪
শুক্রবার ৩ মে ২০২৪

জন্মদিনের গিফট
প্রকাশ: শনিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২০, ১১:০২ পিএম  (ভিজিট : ৩৫৩)
কদিন পরেই মিতুর জন্মদিন। প্রতিবছর এই দিনটার জন্য সে উৎসুক হয়ে থাকে। সহপাঠীদের দাওয়াত দেয়। বাসায় অনেক মেহমান আসে। সবাই চমৎকার সব গিফট দেয়। এসব পেয়ে মিতুর মনটা আনন্দে ভরে ওঠে। গিফট পেলে কার মনটা আনন্দে ভরে ওঠে না, শুনি? বরং মিতু মনে মনে বলে, ‘ইস, বছরে যদি দুবার করে জন্মদিন আসত, আমি বেশি বেশি গিফট পেতাম!’
আজ পড়ার টেবিলে মিতুর একদম মন নেই। সে তো জন্মদিনের গিফট নিয়ে ভাবছে। মিতুর আম্মু কিচেন রুম থেকে বুঝতে পারেন। ডেকে বলেন, ‘কী ব্যাপার মিতু, পড়ছ না যে?’
‘আম্মু, পড়ছি তো।’
‘না, তুমি মোটেও পড়ছ না। তুমি কিছু একটা ভাবছ।’
‘হুম, ভাবছি। আর কদিন পরেই আমার জন্মদিন, আম্মু। ভাবছি, বেশি বেশি গিফট না নিয়ে যদি বড় একটা গিফট পেতাম, তবে বেশি মজা হতো।’
‘ও আচ্ছা। এই কথা। অনেক মেহমান, অনেক গিফট দেবেÑ এটাই স্বাভাবিক। এতে বড়-ছোটর কী আছে?’
‘না আম্মু, তুমি একদম বুঝছ না। কেউ পুতুল দেয়, কেউ জামা দেয়, আবার কেউ বই দেয়। এসব না দিয়ে যদি আমায় একটা সাইকেল কেউ দিত, তবে ভীষণ মজা হতো। সাইকেল চালানোর খুব শখ আমার।’
মিতুর আম্মু ওর মনের অবস্থা বুঝতে পারেন। ও তো ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে। এখন ক্লাস ফাইভে পড়ছে। ওর তো খেলনাপাতি আর পুতুল নিয়ে খেলার সময় না এখন। এখন সময় খোলা মাঠে ছোটাছুটি ও দৌড়ানোর। তাই তিনি ভাবেন, ‘সত্যিই, এবার মিতুকে একটা সাইকেল গিফট করব। কিন্তু আগেই ওকে জানাব না। সারপ্রাইজ দেব।’
মিতুর আম্মু ওর জন্য ব্যাংকে টাকা জমান অনেক দিন ধরেই। সামনে জন্মদিন ভেবে সেটি তিনি মিতুর অগোচরে ভাঙেন। সব মিলিয়ে একটা সাইকেল কেনার টাকা হয়ে যায়। অফিস থেকে মিতুর আব্বু মনির চৌধুরী আসতেই ওর আম্মু তাকে বলেন, ‘শোনো, এই জমানো টাকা দিয়ে মিতুকে জন্মদিনে একটা সাইকেল গিফট করব। তুমি আগেই ওকে জানাবে না। জন্মদিনের দিন তুমি সাইকেল এনে ওকে সারপ্রাইজ দেবে।’
‘ঠিক আছে। তাই হবে।’

আজ মিতুর জন্মদিন। বাসা ভর্তি মেহমান। ওর সহপাঠীরা এসে কুচকাওয়াজ করছে। মিতুর রুম চমৎকার করে সাজানো হয়েছে। লাল-নীল-সবুজ বাতি জ¦লছে। টেবিলে জন্মদিনের বড় একটা কেক রাখা আছে। পাশের একটা টেবিলে সবাই নানান রকম গিফট রাখছেন। মিতু এসব পেয়ে ক্ষণেই আনন্দিত হচ্ছে, ক্ষণেই মনে মনে বলছেÑ ‘মনে হয়, বড় গিফট এবারও পাব না। কেউ যদি আমাকে সাইকেল দিত!’
সময় যেতে থাকে। সবাই প্রস্তুত জন্মদিনের কেক কাটার জন্য। হঠাৎ মিতুর মনটা খারাপ হয়। কেননা ওর বাবা এখনও অফিস থেকে ফেরেননি। সে আম্মুকে জিগ্যেস করে, ‘আম্মু, আব্বু আজ অফিস থেকে ফিরতে দেরি করছেন কেন? আজ আমার জন্মদিন আর আজই লেট করতে হলো!’
‘মনে হয়, যানজটে আটকে গেছে।’
যানজটের কথা শুনে মিতুর মনটা আরেকটু খারাপ হয়। এই যানজটের কবলে পড়ে ওর মাঝেমধ্যে স্কুলে পৌঁছতেও দেরি হয়। স্কুলগাড়িওয়ালা মামারও ভীষণ কষ্ট হয়। তার ইচ্ছে হয় তখনÑ সে যদি মেয়র হতো, তবে এই শহরের যানজট দূর করত। আর তাই তো সে মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করছে।
কিছুক্ষণের মধ্যে মিতুর আব্বু বড় একটা প্যাকেট নিয়ে বাসায় হাজির হন। মোড়কে মোড়ানো বলে বোঝা যাচ্ছে না যে এর ভেতরে কী আছে। মিতু কৌত‚হলী হয়ে আব্বুকে জিজ্ঞেস করে, ‘আব্বু, তুমি কি আমার জন্য বড় গিফট এনেছ?’
‘হুম আম্মু, শুধু বড় গিফট না। তোমার মনের আশা পূরণ করতে সাইকেল এনেছি।’
‘ওয়াও। কিন্তু তুমি কীভাবে জানলে যে আমি সাইকেল পেলে খুশি হব আজ?’
‘তোমার আম্মুর প্ল্যান ছিল এসব।’
‘ও আচ্ছা। লুকিয়ে লুকিয়ে এসব করা হয়েছে তাহলে!’
জন্মদিনের এত বড়ো সারপ্রাইজ গিফট পেয়ে মিতু খুশিতে যেন নাচতে থাকে। সহপাঠীদের সাথে হইহুল্লোড় করতে থাকে। অতঃপর সবাই মিলে জন্মদিনের কেক কেটে আনন্দ করে। আর সবাই বলে, ‘শুভ জন্মদিন, মিতু।’




এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


বোকা কমান্ডার111আরিফুল ইসলাম সাকিব222ছোট একটি বাগান। rnবাগানে আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, পেয়ারা ইত্যাদি ফলগাছ রয়েছে। পাশ দিয়ে বয়ে rnগেছে আঁকাবাঁকা নদী। নদীর পাশেই সবুজঘেরা ছোট একটি গ্রাম। গ্রামে একটি rnস্কুলও রয়েছে। এই গ্রামেই ছিল সহজ সরল রহিম মিয়ার বাস। গ্রামের বাগানটিrn ছিল তার। প্রতিবছর প্রচুর ফল ধরে বাগানের গাছগুলোতে। বাগানটি ছিল তার rnএকমাত্র আয়ের উৎস। ১৯৭১ সাল। দেশে যুদ্ধ লেগেছে। ঢাকায় গোলাগুলি হয়েছে।rn অনেক মানুষ মারা গেছে। সরকার পাকিস্তান থেকে অস্ত্রসহ অগণিত সেনা rnপাঠাচ্ছে। গোলাগুলি দিনকে দিন বাড়তে থাকে। কিছুদিন পর রহিম মিয়ার গ্রামেও rnপাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ঢুকল। হানাদার বাহিনী স্কুলে আশ্রয় নিল। গ্রামেরrn সবার মনে আতঙ্ক। তাদের বিশ^াস, কেউ আর প্রাণে বাঁচতে পারবে না। পলাশ ছিল rnসেই গ্রামের নামকরা দুষ্টু ছেলে। একদিন বর্বর হানাদার বাহিনীর কমান্ডারrn কয়েকজন সৈন্য নিয়ে বাগানে এলো। গাছে পাকা পাকা সুস্বাদু ফল দেখে তার জিভে rnপানি চলে এলো। কাউকে কিছু না বলেই লিচুগাছ থেকে লিচু ছিঁড়ে খাওয়া শুরু করে rn দিল। এভাবে নানা ফল খেতে রইল সে। রহিম মিয়া এ দৃশ্য দেখে ভয়ে চুপচাপ রইল। rnপ্রাণের ভয়ে কিছু বলার সাহস পায় না। মনে মনে ভাবে, বলা তো যায় না! কখন কাকেrn ধরে জনমের মতো শেষ করে দেয়। এভাবে রোজ রোজ এসে বাগান থেকে যা ইচ্ছে খেয়ে rnযায়। খাওয়া শেষে যা পারে সাথে নিয়ে যায়। রহিম মিয়া খুব চিন্তিত। গ্রামের rnকয়েকজন লোককে জানাল সে। ভয়ে কেউ কিছু বলল না। আনমনে ভাবছে, কদিন ধরে বাগানেrn পলাশও আসছে না। হয়তো হানাদার বাহিনীর কথা শুনেই আসছে না।পলাশ রহিম rnমিয়াকে চাচা বলে ডাকে। রোজ এসে রহিম চাচার সাথে কাজ করত আর যা খুশি ফল খেত।rn পলাশ জানতে পারল, বাগানের সব ফল হানাদার বাহিনী প্রতিদিন খেয়ে খেয়ে শেষ rnকরে দিচ্ছে। বিকেলবেলা সে রহিম চাচার বাড়ি গেল। পলাশকে দেখেই অবাক! Ñ তুই এ ক’দিন কোথায় ছিলি? জানিস বাগানের প্রায় সব লিচু খেয়ে ফেলেছে। এ বছর হয়তো আর লিচু বিক্রি করা হবে না।পলাশ কিছুক্ষণ চুপ রইল। তারপর বলল, একটা বুদ্ধি তো বের করতেই হবে। লিচুও বিক্রি করতে হবে।Ñ হানাদার বাহিনীর কথা শুনেছিস! যাকে ধরে একদম মেরে পুঁতে ফেলে। কী করি বল তো? পলাশrn রহিম চাচাকে অনেকক্ষণ বুঝাল। তারপর লিচু বিক্রি করতে রাজি হলো। সাত-সকালে rnলিচু পাড়তে যায় দুজন। এ কথা বর্বর হানাদার বাহিনীর কানে পৌঁছতেই ক’জন rnসৈন্য এসে রহিম মিয়াকে ধমকাতে শুরু করল। লিচু যা পেড়েছিল সব নিয়ে যায়। আর rnবলে গেল, গাছ থেকে লিচু পারলে হাত-পা বেঁধে স্যারের (কমান্ডার) কাছে নিয়ে rnযাব। স্যারের মেজাজ খুবই গরম। কখন কী করে বলা যায় না। কী আর করা! দুজন এককোণে চুপচাপ বসে রইল। পলাশ মনে মনে ভাবে, কিছু একটা করতেই হবে। সেদিন দুজন বাড়ি ফিরে গেল। পরেরrn দিন বিকেলবেলা বাগানে হানাদার বাহিনীর কমান্ডারের সাথে কিছু সৈন্যও এলো। rnবাগানের এককোণে ছিল এক আমগাছ। তরতাজা লাল-টুকটুকে আমগুলো কেউ পাড়ত না। কারণrn পাশেই ছিল বিষাক্ত ভিমরুলের বাসা। তাই ভয়ে কেউ গাছের আশপাশেও যায় না। rnকমান্ডার গিয়ে ওই গাছ থেকে আম পাড়া শুরু করল। একটা পেড়ে দাঁত দিয়ে কামড়িয়ে rnখাচ্ছিল। আরেকজন সৈন্য গিয়ে আরেকটি আম পাড়ছিল। সাথে সাথেই বিষাক্ত ভিমরুল rnএসে কামড় বসিয়ে দেয়। এভাবে ভিমরুলগুলো ভনভন করে সৈন্যদের কামড়ানো শুরু করে।rn যে যার মতো দৌড়ে পালাল।সন্ধ্যায় দুষ্টু পলাশ তাদের দেখতে যায়। সবাই তোrn ওর ওপর খেপে গেল। পলাশ সুন্দর করে তাদের বুঝিয়ে বিষাক্ত জাগায় চুন লাগিয়ে rnদেয়। পলাশকে এভাবে সেবা করতে দেখে সৈন্যরা সবাই খুশি হলো। সকালবেলা rnকমান্ডার পলাশকে ডেকে এনে আবার চুন মালিশ করে নিল। পাকিস্তানি কমান্ডারrn ছিল পেটুক স্বভাবের লোক। সারা দিন খাই খাই করে। লোভ সামলাতে না পেরে rnপরেরদিন আবার গেল বাগানে। এবার কাঁঠালপাকা ঘ্রাণে মাতাল হয়ে গেল। জোরপূর্বকrn পলাশকে গাছে তুলে দিল। গাছে উঠে দেখল একটি কাঁঠাল পেকে একদম নরম হয়ে আছে। rnওপর থেকে নিচে ফেললে ফেটে যাবে। তাই কমান্ডারকে বলল, স্যার, কাঁঠাল ক্যাচ rnধরতে হবে। নরম কাঁঠাল সরাসরি মাটিতে পড়লে ফেটে যাবে।পলাশের কথায় rnকমান্ডার রাজি হলো। কাঁঠাল ক্যাচ ধরবে। পলাশ ওপর থেকে ছাড়ল। কাঁঠাল হাতে নাrn পড়ে নিচে পড়ে ফেটে ছন্নছাড়া হয়ে গেল। তা দেখে পলাশ মিটমিট হাসছে!কমান্ডারের অবস্থা দেখে পলাশ বললÑ স্যার, এখান থেকে কাঁঠাল নিয়ে যেতে পারেন। একরাত রাখলেই পেকে যাবে। সবাই মিলে খেতে পারবেন।পলাশrn কাঁঠাল নিয়ে কমান্ডারের সাথে গেল। কাঁঠাল দেখে সৈন্যেরা খুব খুশি। একজন rnপলাশকে জিজ্ঞেস করল, কখন পাকবে? উত্তরে পলাশ বলে, কালকেই খেতে পারবেন। rnকমান্ডার বলল, কাল বিকালে তুই চলে আসবি। সবাই একসাথে কাঁঠাল খাব। পরের rnদিন বিকেলবেলা পলাশ গেল। কাঁঠাল ভাঙল। সবাই একসাথে খাওয়া শেষ করল। সবার rnহাতে কাঁঠালের কষ লেগে যায়। এ অবস্থায় কাঁঠালের কষ ছাড়াতে সবাই ব্যস্ত হয়ে rnপড়ে। দুষ্টু পলাশ বুদ্ধি দিল। স্কুলের পেছনে একটা গাছ আছে। ওই গাছের পাতা rnদিয়ে ডলা দিলেই চলে যাবে। বোকা কমান্ডার আদেশ দিল বেশি করে পাতা নিয়ে আসার rnজন্য। এদিকে পলাশ চোখ ফাঁকি দিয়ে চলে এলো। সৈন্যরা বেশি করে বিছুটি গাছের rnপাতা নিয়ে আসে। সবাই বিছুটি পাতা দিয়ে হাত ডলা শুরু করল। একটু পরই চুলকানি rnশুরু হয়। চুলকাতে চুলকাতে সবার হাত ফুলে কলাগাছ। সন্ধ্যা ছুঁইছুঁই। পশ্চিম rnআকাশে ছড়িয়ে পড়েছে সূর্যের রক্তিম আভা।এদিকে পলাশ গিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদেরrn খবর দিল। রাতে স্কুলে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। ওই রাতেই সব হানাদার rnবাহিনী খতম। পলাশকে মুক্তিযোদ্ধারা স্যালুট জানাল। গ্রামের সবাই পলাশের এমনrn সাহসী কাজে খুবই মুগ্ধ হলো। রহিম চাচারও গর্বে বুক ভরে গেল।                                                                                বোকা কমান্ডার111আরিফুল ইসলাম সাকিব222ছোট একটি বাগান। rnবাগানে আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, পেয়ারা ইত্যাদি ফলগাছ রয়েছে। পাশ দিয়ে বয়ে rnগেছে আঁকাবাঁকা নদী। নদীর পাশেই সবুজঘেরা ছোট একটি গ্রাম। গ্রামে একটি rnস্কুলও রয়েছে। এই গ্রামেই ছিল সহজ সরল রহিম মিয়ার বাস। গ্রামের বাগানটিrn ছিল তার। প্রতিবছর প্রচুর ফল ধরে বাগানের গাছগুলোতে। বাগানটি ছিল তার rnএকমাত্র আয়ের উৎস। ১৯৭১ সাল। দেশে যুদ্ধ লেগেছে। ঢাকায় গোলাগুলি হয়েছে।rn অনেক মানুষ মারা গেছে। সরকার পাকিস্তান থেকে অস্ত্রসহ অগণিত সেনা rnপাঠাচ্ছে। গোলাগুলি দিনকে দিন বাড়তে থাকে। কিছুদিন পর রহিম মিয়ার গ্রামেও rnপাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ঢুকল। হানাদার বাহিনী স্কুলে আশ্রয় নিল। গ্রামেরrn সবার মনে আতঙ্ক। তাদের বিশ^াস, কেউ আর প্রাণে বাঁচতে পারবে না। পলাশ ছিল rnসেই গ্রামের নামকরা দুষ্টু ছেলে। একদিন বর্বর হানাদার বাহিনীর কমান্ডারrn কয়েকজন সৈন্য নিয়ে বাগানে এলো। গাছে পাকা পাকা সুস্বাদু ফল দেখে তার জিভে rnপানি চলে এলো। কাউকে কিছু না বলেই লিচুগাছ থেকে লিচু ছিঁড়ে খাওয়া শুরু করে rn দিল। এভাবে নানা ফল খেতে রইল সে। রহিম মিয়া এ দৃশ্য দেখে ভয়ে চুপচাপ রইল। rnপ্রাণের ভয়ে কিছু বলার সাহস পায় না। মনে মনে ভাবে, বলা তো যায় না! কখন কাকেrn ধরে জনমের মতো শেষ করে দেয়। এভাবে রোজ রোজ এসে বাগান থেকে যা ইচ্ছে খেয়ে rnযায়। খাওয়া শেষে যা পারে সাথে নিয়ে যায়। রহিম মিয়া খুব চিন্তিত। গ্রামের rnকয়েকজন লোককে জানাল সে। ভয়ে কেউ কিছু বলল না। আনমনে ভাবছে, কদিন ধরে বাগানেrn পলাশও আসছে না। হয়তো হানাদার বাহিনীর কথা শুনেই আসছে না।পলাশ রহিম rnমিয়াকে চাচা বলে ডাকে। রোজ এসে রহিম চাচার সাথে কাজ করত আর যা খুশি ফল খেত।rn পলাশ জানতে পারল, বাগানের সব ফল হানাদার বাহিনী প্রতিদিন খেয়ে খেয়ে শেষ rnকরে দিচ্ছে। বিকেলবেলা সে রহিম চাচার বাড়ি গেল। পলাশকে দেখেই অবাক! Ñ তুই এ ক’দিন কোথায় ছিলি? জানিস বাগানের প্রায় সব লিচু খেয়ে ফেলেছে। এ বছর হয়তো আর লিচু বিক্রি করা হবে না।পলাশ কিছুক্ষণ চুপ রইল। তারপর বলল, একটা বুদ্ধি তো বের করতেই হবে। লিচুও বিক্রি করতে হবে।Ñ হানাদার বাহিনীর কথা শুনেছিস! যাকে ধরে একদম মেরে পুঁতে ফেলে। কী করি বল তো? পলাশrn রহিম চাচাকে অনেকক্ষণ বুঝাল। তারপর লিচু বিক্রি করতে রাজি হলো। সাত-সকালে rnলিচু পাড়তে যায় দুজন। এ কথা বর্বর হানাদার বাহিনীর কানে পৌঁছতেই ক’জন rnসৈন্য এসে রহিম মিয়াকে ধমকাতে শুরু করল। লিচু যা পেড়েছিল সব নিয়ে যায়। আর rnবলে গেল, গাছ থেকে লিচু পারলে হাত-পা বেঁধে স্যারের (কমান্ডার) কাছে নিয়ে rnযাব। স্যারের মেজাজ খুবই গরম। কখন কী করে বলা যায় না। কী আর করা! দুজন এককোণে চুপচাপ বসে রইল। পলাশ মনে মনে ভাবে, কিছু একটা করতেই হবে। সেদিন দুজন বাড়ি ফিরে গেল। পরেরrn দিন বিকেলবেলা বাগানে হানাদার বাহিনীর কমান্ডারের সাথে কিছু সৈন্যও এলো। rnবাগানের এককোণে ছিল এক আমগাছ। তরতাজা লাল-টুকটুকে আমগুলো কেউ পাড়ত না। কারণrn পাশেই ছিল বিষাক্ত ভিমরুলের বাসা। তাই ভয়ে কেউ গাছের আশপাশেও যায় না। rnকমান্ডার গিয়ে ওই গাছ থেকে আম পাড়া শুরু করল। একটা পেড়ে দাঁত দিয়ে কামড়িয়ে rnখাচ্ছিল। আরেকজন সৈন্য গিয়ে আরেকটি আম পাড়ছিল। সাথে সাথেই বিষাক্ত ভিমরুল rnএসে কামড় বসিয়ে দেয়। এভাবে ভিমরুলগুলো ভনভন করে সৈন্যদের কামড়ানো শুরু করে।rn যে যার মতো দৌড়ে পালাল।সন্ধ্যায় দুষ্টু পলাশ তাদের দেখতে যায়। সবাই তোrn ওর ওপর খেপে গেল। পলাশ সুন্দর করে তাদের বুঝিয়ে বিষাক্ত জাগায় চুন লাগিয়ে rnদেয়। পলাশকে এভাবে সেবা করতে দেখে সৈন্যরা সবাই খুশি হলো। সকালবেলা rnকমান্ডার পলাশকে ডেকে এনে আবার চুন মালিশ করে নিল। পাকিস্তানি কমান্ডারrn ছিল পেটুক স্বভাবের লোক। সারা দিন খাই খাই করে। লোভ সামলাতে না পেরে rnপরেরদিন আবার গেল বাগানে। এবার কাঁঠালপাকা ঘ্রাণে মাতাল হয়ে গেল। জোরপূর্বকrn পলাশকে গাছে তুলে দিল। গাছে উঠে দেখল একটি কাঁঠাল পেকে একদম নরম হয়ে আছে। rnওপর থেকে নিচে ফেললে ফেটে যাবে। তাই কমান্ডারকে বলল, স্যার, কাঁঠাল ক্যাচ rnধরতে হবে। নরম কাঁঠাল সরাসরি মাটিতে পড়লে ফেটে যাবে।পলাশের কথায় rnকমান্ডার রাজি হলো। কাঁঠাল ক্যাচ ধরবে। পলাশ ওপর থেকে ছাড়ল। কাঁঠাল হাতে নাrn পড়ে নিচে পড়ে ফেটে ছন্নছাড়া হয়ে গেল। তা দেখে পলাশ মিটমিট হাসছে!কমান্ডারের অবস্থা দেখে পলাশ বললÑ স্যার, এখান থেকে কাঁঠাল নিয়ে যেতে পারেন। একরাত রাখলেই পেকে যাবে। সবাই মিলে খেতে পারবেন।পলাশrn কাঁঠাল নিয়ে কমান্ডারের সাথে গেল। কাঁঠাল দেখে সৈন্যেরা খুব খুশি। একজন rnপলাশকে জিজ্ঞেস করল, কখন পাকবে? উত্তরে পলাশ বলে, কালকেই খেতে পারবেন। rnকমান্ডার বলল, কাল বিকালে তুই চলে আসবি। সবাই একসাথে কাঁঠাল খাব। পরের rnদিন বিকেলবেলা পলাশ গেল। কাঁঠাল ভাঙল। সবাই একসাথে খাওয়া শেষ করল। সবার rnহাতে কাঁঠালের কষ লেগে যায়। এ অবস্থায় কাঁঠালের কষ ছাড়াতে সবাই ব্যস্ত হয়ে rnপড়ে। দুষ্টু পলাশ বুদ্ধি দিল। স্কুলের পেছনে একটা গাছ আছে। ওই গাছের পাতা rnদিয়ে ডলা দিলেই চলে যাবে। বোকা কমান্ডার আদেশ দিল বেশি করে পাতা নিয়ে আসার rnজন্য। এদিকে পলাশ চোখ ফাঁকি দিয়ে চলে এলো। সৈন্যরা বেশি করে বিছুটি গাছের rnপাতা নিয়ে আসে। সবাই বিছুটি পাতা দিয়ে হাত ডলা শুরু করল। একটু পরই চুলকানি rnশুরু হয়। চুলকাতে চুলকাতে সবার হাত ফুলে কলাগাছ। সন্ধ্যা ছুঁইছুঁই। পশ্চিম rnআকাশে ছড়িয়ে পড়েছে সূর্যের রক্তিম আভা।এদিকে পলাশ গিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদেরrn খবর দিল। রাতে স্কুলে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। ওই রাতেই সব হানাদার rnবাহিনী খতম। পলাশকে মুক্তিযোদ্ধারা স্যালুট জানাল। গ্রামের সবাই পলাশের এমনrn সাহসী কাজে খুবই মুগ্ধ হলো। রহিম চাচারও গর্বে বুক ভরে গেল।
মুক্তিযুদ্ধে জলদাসী111সাইফুল্লাহ নবীন222উনিশশো একাত্তরের পহেলা ডিসেম্বর।বিকেল বেলা।দশজনেরrn মুক্তিযোদ্ধার একটি দল গঞ্জে যাবে। তারা পাশের গ্রাম থেকে হেঁটে তিন মাইল rnপথ পেরিয়ে রাস্তার মাথায় এসে খেয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। রাস্তার মাথায় একটা rnছোট্ট নদী। নদী পার হয়ে গঞ্জে যেতে হয়। মুক্তিযোদ্ধার দল গঞ্জে গিয়ে rnরাজাকারদের হটিয়ে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেবে পুরো এলাকা। মুক্তিযোদ্ধারা ভাবেrn নদী পার হয়ে যাওয়া যায় কীভাবে?অদূরে ভাঙনের পারে একটা ছইওয়ালা নৌকা দেখতে পেলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা। তিনি কমান্ডারকে বললেন, ভাই ওই একটা নৌকা দেখা যায়।- কাছে গিয়ে দেখো কেউ আছে নাকি? থাকলে বলো আমাদেরকে যেন নদীটা পার করে দেয়।- দেখতেছি।- আচ্ছা দাঁড়াও। আমি গিয়ে দেখি।মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রশিদ নৌকাটির কাছে গেলেন। একজন মহিলা নৌকায় বসে জাল ঠিক করছে। ভেতরে একটা ছেলে একটা মেয়ে বসে লুডু খেলছে।মহিলারrn নাম কমলা জলদাসী। স্বামী মানিক জলদাস। গত বছর কঠিন অসুখে চিকিৎসার অভাবে rnমারা গেছেন। রেখে গেছেন এক ছেলে, এক মেয়ে। মেয়ে সুষমা ও ছেলে মনোজ। সুষমার rnবয়স আট, মনোজের ছয়। মানিক দাস ছিলেন সেখানকার জেলেপাড়ার মানুষ। তিনি মারা rnযাওয়ায় তার স্ত্রী কমলা জলদাসী স্বামীর মতো নদীতে মাছ ধরে সংসার চালান। rnকমলা জলদাসীকে সাহায্য করে ছেলে এবং মেয়ে। নদীতে মাছ পেলে গঞ্জে গিয়ে rnবিক্রি করেন কমলা। নদীর কাছে গঞ্জের হাট।মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রশিদ মিয়া কমলা জলদাসীকে ডেকে বললেন, এই যে বোন নৌকাটি আপনার?- হ।- আচ্ছা নদীর ওপার যাওয়ার কি কোনো খেয়া নেই?- আছে। খেয়ার মাঝিরা ভয়ে পালাইছে। আপনারা কারা?- আমরা মুক্তিযোদ্ধা। আমার দলের লোকেরা নদী পার হবে। আপনি নৌকাটি দিয়ে আমাদেরকে পার করে দেবেন? মুক্তিযোদ্ধারrn কথা শুনে কমলা জলদাসী খুশি হয়ে তাকালেন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রশিদ মিয়ার rnদিকে। কয়েকদিন আগে জেলেপাড়ায় কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্প করেছিল, তাদেরকে rnঅনেক সাহায্য করেছিল কমলা ও তার জ্ঞাতি জনেরা।কমলা জলদাসী বলল, আপনারা কই যাইবেন?- গঞ্জের হাটে যাব।-rn গঞ্জের হাটে না গিয়ে ওপারের বেপারি বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন। গঞ্জের হাটে rnরাজাকারদের খুব দাপট। মাছ বিক্রি করতে আমি প্রতিদিন হাটে যাই।- রাজাকাররা আপনাকে কিছু বলে না!Ñ আমি বোরকা পরে মাছ বিক্রি করতে যাই। ইচ্ছে করেই বোরকা নোংরা করে রাখি যেন মাছ মাছ গন্ধ আসে। ওরা আমার ধারেকাছে আসে না।মুক্তিযোদ্ধাrn কমান্ডার রশিদ মিয়া তাকালেন কমলা জলদাসীর দিকে। সাহায্য করার মতো একজন rnমানুষ পেয়েছে সে। তার দ্বারা রাজাকারদের খবর পাওয়া যাবে, এতেই নিঃশেষ করা rnযাবে রাজাকার বাহিনী।রশিদ মিয়া বললেন, বুদ্ধিটা ভালোই। আপনাকে আমাদের rnপ্রয়োজন। দেশকে রক্ষা করতে আমাদেরকে সাহায্য করতে হবে। শুধু রাজাকারদের rnখোঁজখবর দেবেন। আপনাকে আমরা সম্মানী দেব।- আমার সম্মানী লাগবে না। কুত্তাদের হাত থেকে দেশ রক্ষা করতে আমি আপনাদেরকে সাহায্য করব।- শুনে খুশি হলাম।পরদিন।গঞ্জেরrn বাজারে রাজাকাররা অস্ত্র নিয়ে মার্চ করল। রাজাকাররা মুক্তিকামী জনতাকে rnথানা হাজতে ঢুকাল। হিন্দুদের প্রতি অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে দিল। তল্লাশিরrn নামে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মেয়েদের ইজ্জত লুণ্ঠন করল। দোকানে ক্রেতা-বিক্রেতার rnকাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে পকেট ভরল রাজাকাররা।পঁচিশ নভেম্বর গঞ্জে হানাদার rnবাহিনী এসে স্কুলমাঠে ক্যাম্প করল। কিছু মানুষকে হত্যা করে ভয়-ভীতি দেখিয়ে rnজেলা শহরে চলে গেল। সেদিন মিলিটারিরা স্থানীয় রাজাকারদের নিয়ে জেলেপাড়া rnপুড়িয়ে দিল। কমলা জলদাসীর ঘরটিও রাখল না। কমলা রাজাকারদের অনেক অনুনয়-বিনয় rnকরেছিল, কিন্তু ওরা শোনেনি। কমলা জলদাসী এখন ছেলেমেয়ে নিয়ে নৌকায় বসবাস rnকরছে।একদিন কমলা জলদাসী রাজাকারদের খবরাখবর জেনে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারrn রশিদ মিয়ার কাছে খবর পৌঁছাল। ছেলেমেয়েকে নিরাপদে রেখে ভোররাতে সে নৌকায় rnকরে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে গঞ্জে পৌঁছে দিল। দুই দিন দুই রাত রাজাকারদের rnসঙ্গে যুদ্ধ করে মুক্ত করল গঞ্জের বাজার। মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পণ rnকরল রাজাকাররা। মুক্ত হলো গঞ্জের হাট। তারপর থেকে মুক্ত হাটে নির্ভয়ে মাছ rnবিক্রি করতে লাগল কমলা জলদাসী। মুক্তিযুদ্ধে জলদাসী111সাইফুল্লাহ নবীন222উনিশশো একাত্তরের পহেলা ডিসেম্বর।বিকেল বেলা।দশজনেরrn মুক্তিযোদ্ধার একটি দল গঞ্জে যাবে। তারা পাশের গ্রাম থেকে হেঁটে তিন মাইল rnপথ পেরিয়ে রাস্তার মাথায় এসে খেয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। রাস্তার মাথায় একটা rnছোট্ট নদী। নদী পার হয়ে গঞ্জে যেতে হয়। মুক্তিযোদ্ধার দল গঞ্জে গিয়ে rnরাজাকারদের হটিয়ে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেবে পুরো এলাকা। মুক্তিযোদ্ধারা ভাবেrn নদী পার হয়ে যাওয়া যায় কীভাবে?অদূরে ভাঙনের পারে একটা ছইওয়ালা নৌকা দেখতে পেলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা। তিনি কমান্ডারকে বললেন, ভাই ওই একটা নৌকা দেখা যায়।- কাছে গিয়ে দেখো কেউ আছে নাকি? থাকলে বলো আমাদেরকে যেন নদীটা পার করে দেয়।- দেখতেছি।- আচ্ছা দাঁড়াও। আমি গিয়ে দেখি।মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রশিদ নৌকাটির কাছে গেলেন। একজন মহিলা নৌকায় বসে জাল ঠিক করছে। ভেতরে একটা ছেলে একটা মেয়ে বসে লুডু খেলছে।মহিলারrn নাম কমলা জলদাসী। স্বামী মানিক জলদাস। গত বছর কঠিন অসুখে চিকিৎসার অভাবে rnমারা গেছেন। রেখে গেছেন এক ছেলে, এক মেয়ে। মেয়ে সুষমা ও ছেলে মনোজ। সুষমার rnবয়স আট, মনোজের ছয়। মানিক দাস ছিলেন সেখানকার জেলেপাড়ার মানুষ। তিনি মারা rnযাওয়ায় তার স্ত্রী কমলা জলদাসী স্বামীর মতো নদীতে মাছ ধরে সংসার চালান। rnকমলা জলদাসীকে সাহায্য করে ছেলে এবং মেয়ে। নদীতে মাছ পেলে গঞ্জে গিয়ে rnবিক্রি করেন কমলা। নদীর কাছে গঞ্জের হাট।মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রশিদ মিয়া কমলা জলদাসীকে ডেকে বললেন, এই যে বোন নৌকাটি আপনার?- হ।- আচ্ছা নদীর ওপার যাওয়ার কি কোনো খেয়া নেই?- আছে। খেয়ার মাঝিরা ভয়ে পালাইছে। আপনারা কারা?- আমরা মুক্তিযোদ্ধা। আমার দলের লোকেরা নদী পার হবে। আপনি নৌকাটি দিয়ে আমাদেরকে পার করে দেবেন? মুক্তিযোদ্ধারrn কথা শুনে কমলা জলদাসী খুশি হয়ে তাকালেন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রশিদ মিয়ার rnদিকে। কয়েকদিন আগে জেলেপাড়ায় কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্প করেছিল, তাদেরকে rnঅনেক সাহায্য করেছিল কমলা ও তার জ্ঞাতি জনেরা।কমলা জলদাসী বলল, আপনারা কই যাইবেন?- গঞ্জের হাটে যাব।-rn গঞ্জের হাটে না গিয়ে ওপারের বেপারি বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন। গঞ্জের হাটে rnরাজাকারদের খুব দাপট। মাছ বিক্রি করতে আমি প্রতিদিন হাটে যাই।- রাজাকাররা আপনাকে কিছু বলে না!Ñ আমি বোরকা পরে মাছ বিক্রি করতে যাই। ইচ্ছে করেই বোরকা নোংরা করে রাখি যেন মাছ মাছ গন্ধ আসে। ওরা আমার ধারেকাছে আসে না।মুক্তিযোদ্ধাrn কমান্ডার রশিদ মিয়া তাকালেন কমলা জলদাসীর দিকে। সাহায্য করার মতো একজন rnমানুষ পেয়েছে সে। তার দ্বারা রাজাকারদের খবর পাওয়া যাবে, এতেই নিঃশেষ করা rnযাবে রাজাকার বাহিনী।রশিদ মিয়া বললেন, বুদ্ধিটা ভালোই। আপনাকে আমাদের rnপ্রয়োজন। দেশকে রক্ষা করতে আমাদেরকে সাহায্য করতে হবে। শুধু রাজাকারদের rnখোঁজখবর দেবেন। আপনাকে আমরা সম্মানী দেব।- আমার সম্মানী লাগবে না। কুত্তাদের হাত থেকে দেশ রক্ষা করতে আমি আপনাদেরকে সাহায্য করব।- শুনে খুশি হলাম।পরদিন।গঞ্জেরrn বাজারে রাজাকাররা অস্ত্র নিয়ে মার্চ করল। রাজাকাররা মুক্তিকামী জনতাকে rnথানা হাজতে ঢুকাল। হিন্দুদের প্রতি অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে দিল। তল্লাশিরrn নামে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মেয়েদের ইজ্জত লুণ্ঠন করল। দোকানে ক্রেতা-বিক্রেতার rnকাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে পকেট ভরল রাজাকাররা।পঁচিশ নভেম্বর গঞ্জে হানাদার rnবাহিনী এসে স্কুলমাঠে ক্যাম্প করল। কিছু মানুষকে হত্যা করে ভয়-ভীতি দেখিয়ে rnজেলা শহরে চলে গেল। সেদিন মিলিটারিরা স্থানীয় রাজাকারদের নিয়ে জেলেপাড়া rnপুড়িয়ে দিল। কমলা জলদাসীর ঘরটিও রাখল না। কমলা রাজাকারদের অনেক অনুনয়-বিনয় rnকরেছিল, কিন্তু ওরা শোনেনি। কমলা জলদাসী এখন ছেলেমেয়ে নিয়ে নৌকায় বসবাস rnকরছে।একদিন কমলা জলদাসী রাজাকারদের খবরাখবর জেনে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারrn রশিদ মিয়ার কাছে খবর পৌঁছাল। ছেলেমেয়েকে নিরাপদে রেখে ভোররাতে সে নৌকায় rnকরে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে গঞ্জে পৌঁছে দিল। দুই দিন দুই রাত রাজাকারদের rnসঙ্গে যুদ্ধ করে মুক্ত করল গঞ্জের বাজার। মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পণ rnকরল রাজাকাররা। মুক্ত হলো গঞ্জের হাট। তারপর থেকে মুক্ত হাটে নির্ভয়ে মাছ rnবিক্রি করতে লাগল কমলা জলদাসী।
আদুরী111জুয়েল আশরাফ222আয় আদুরী আয়।প্রথমে আদুরী বুঝে উঠতেrn পারল না তাকেই যে ডাকছে ওই বাড়ির ছোট্ট মেয়েটি। মেয়েটাকে ও চেনে, ওর নাম rnআদর। নিজের নামের সাথে মিলিয়ে তার নাম রেখেছিল আদুরী। ঘাড় কাদ করে মাথাটা rnএকটু তুলে সেদিকে তাকাতেই ও বুঝতে পারল যে ওকেই ডাকছে। কানটা খাড়া করে rnআবারও শুনতে চেষ্টা করল আদুরী। না, তার আশপাশে তো আর কেউ নেই। তাহলে মেয়েটিrn ওকেই ডাকছে। মাঝেমধ্যে এ পাড়ার অনেকেই খেতে দেয় ডেকে। আদুরী খায় সে খাবার।rn তেমনি সমস্ত বাড়ির ইঁদুর মেরে পাড়ার লোকের ঋণও শোধ করে দেয়। আদুরী তাই rnআস্তে আস্তে এগিয়ে গেল ওর কাছে।এ পাড়ায় হোটেলের মালিক পান্নুও ছিলেন rnযিনি সবসময় তাকে ডেকে ডাল ভাত খেতে দিতেন। মনে হয় তিনি এমনই খাবার খান। তাইrn হাড্ডি, কাঁটা কখনও খেতে দেন না। যাই হোক ভালোবেসে যে যা খেতে দেয় আদুরী rnতাই খেয়ে খুশি থাকে। সেই কবে থেকে আদুরী রয়েছে এই পাড়াতেই। মা আর rnভাই-বোনেরা তো চলে গেছে কোথায়। কিন্তু আদুরী রয়ে গেছে।আদুরী কিন্তু rnএমনিতে ভালো খুব। কোনো বাড়ির মিটসেফে ভাজা মাছের খোঁজ করে না। ঢাকনা সরিয়েrn তরকারি চাটে না। বরং অন্য কোনো বিড়াল সেই কাজটি করতে এলে তাকে তাড়া করে rnবেড়ায়। তাই এ পাড়ার বাচ্চারাও ওকে মাঝেমাঝে খেতে বসে মাছের কাঁটা খেতে দেয়।rn আদর করে ডেকে খাবারও দেয়। সে দেখতে খুবই সুন্দর। নাদুসনুদুস। এজন্য আদুরী rnডাকে সবাই তাকে। রাতে কোনো একটা বাড়িতে শুয়ে থাকে সে। আসলে সে পাড়ার rnলোকেদের খাবারের ধার ধারত না আগে। যখন মোড়ের মাথার হোটেলটা চালু ছিল তখন rnসেখান থেকেই খাবার পেয়ে যেত এমনিতেই। এখন ‘করোনা’ নামে কী এক ভাইরাস আসাতে rnহোটেল বন্ধ হয়ে আছে বলে লোকেদের বাড়ির খাবারের ওপরেও ওকে নির্ভর করতে rnহচ্ছে। কিন্তু টুকটাক খাবারে তো আর পেট ভরে না। তাই শরীরটা আদুরীর খুব rnদুর্বল হয়ে পড়েছে এখন। পেট খালি থাকলে ঠিকঠাক ঘুমও তো আসতে চায় না। দুর্বল rnহয়ে শুয়ে থাকে আদুরী অনেক সময়ই।সেদিনও তেমনি শুয়ে ছিল আদুরী। হোটেল মালিকের ছোট্ট মেয়েটি এসে বলল, ‘আদুরী, ওঠ ওঠ। এই দেখ তোর জন্য কত খাবার এনেছি।’একrn চোখ খুলে দেখেই আদুরী শরীরের আড়মোড়া ভেঙে উঠে দাঁড়াল এবার। সামনে খাবার rnপ্লেট দিয়েই মেয়েটি ঘরের ভেতরে ঢুকল। তার মাকে বলতে শুনল, ‘এই বিড়ালটাই rnনষ্টের গোড়া। খাবার জিনিস সব নষ্ট করে বেড়ায়। ওকে খেতে দিলি কেন?’মেয়েটিrn বলল, ওর দোষ নেই মা। অন্য বিড়ালগুলো এসে খাবার নষ্ট করে দিয়ে যায়। ও খুব rnভালো বিড়াল মা। একদম কারোর খাবার নষ্ট করে না। ওকে যেটুকু খেতে দেবে তাতেই ওrn খুশি।’মা বলল, ‘বিড়ালকে তাড়াবার ব্যবস্থা নিচ্ছি দাঁড়া। কয়েকবার তাড়ালাম। এবার এমন ব্যবস্থা করব কোনোদিন আর এ পাড়ায় ফিরে আসতে পারবে না।’‘কী করবে মা শুনি?’‘প্রথমেrn ওকে বস্তায় ভরব। বস্তার ভেতর কর্পূর নেব। কর্পূরের গন্ধে অন্য সব গন্ধ rnঢাকা পড়ে যাবে। অনেক দূরে নিয়ে বস্তার মুখ খুলব। বস্তার মুখ খুলবার আগে rnবস্তাটা ঝ ঝ করে ঘুরাব যাতে বিড়ালের দিকভ্রম হয়। এরপর আর কোনোদিন গন্ধ rnশুঁকে শুঁকে ফিরতে পারবে না।’মেয়েটির অবাক হওয়ার গলায় বলতে শুনল, ‘এভাবেও বিড়াল তাড়ানো যায় নাকি মা?’আদুরীrn শুনল সবই। সামনে খাবার পেয়েও তার খেতে ইচ্ছে করল না। খাবারে রুচি নষ্ট rnহলো। অন্য বিড়ালগুলোর কারণে আজ তার বদনাম উঠেছে। ওকে কি তাড়িয়ে দেবে তবে? rnকী আর করবে। তাড়িয়ে দিলে চলে যাবে। ছোটবেলা থেকেই আদুরী একটু অন্য রকমের। rnকারও সঙ্গে ঝগড়া-মারামারি এসব করে না। অযথা ঝামেলা আদুরীর পছন্দ নয়। এসব rnথেকে সে দূরেই থাকতে চায়। ওর মা তো ছোট থেকেই ওর এই স্বভাবটার কথা জানত। rnদুঃখ করে বলত, ‘তুই যদি নিজের দাবি নিজে আদায় করে নিতে না পারিস তবে বাঁচবিrn কী করে? তোর আশপাশের বিড়ালগুলো তোর খাবার খেয়ে নিচ্ছে। অভুক্ত থেকে কি rnবাঁচতে পারবি তুই?’ আদুরী মনে মনে ভাবছে তেমন হলে আর এখানে থাকবে না ও। চলেrn যাবে অনেকদূরে। চলেই গিয়েছিল আদুরী। ঘুরেফিরে অনেকদিন পর হোটেল মালিকের rnসেই বাড়ি এসে পৌঁছল। পৃথিবী তো গোল, গোলাকার হয়ে ঘুরতে ঘুরতে আবার আগের rnজায়গায়।‘আয় আয় আদুরী।’হোটেল মালিকের ছোট্ট মেয়েটি ডাকছে। কিন্তু rnসঙ্গে আবার ওর মা কেন এলো? আবার কি তাড়িয়ে দেবে? আদুরী ভয়ে খাবারের কাছে rnযাবার সাহস পাচ্ছে না। মেয়েটির মা বলে উঠল, ‘তুই ঠিক বলেছিলি আদর, তোর rnআদুরী বিড়ালটা খেতে না পেয়ে সত্যিই খুব রোগা হয়ে গেছে। আয় আয় আদুরী খেয়ে নেrn মাছ-ভাত।’আদুরী মনে মনে ভাবছে ও কি ঠিক দেখছে? যে মানুষটি ওকে দেখলে rnপরেই তাড়া করে সে কিনা মাছ-ভাত খাওয়ার জন্য বলছে! তারপর আদুরীর খাওয়া দেখে rnআদরের মা বলছে, ‘আহারে বেচারি পেট ভরে না খেতে পেয়ে রোগা হয়ে গেছে। আমরা তোrn রোজই খাচ্ছি।’ আদরের বাবাও ঘর থেকে বেরিয়ে এসে আদুরীর খাওয়া দেখতে লাগল। rnবলল, ‘এখন রোজই আদুরীকে খেতে দিতে হবে। আমাদের উচিত বিড়াল-কুকুরদের খেতে rnদেওয়া।’ আদরের মা তখন বুঝতে পেরে বলল, ‘হুঁ বুঝলাম। এই করোনা ভাইরাসের rnমহামারিতে খাবার হোটেল বন্ধ, স্কুল কলেজ বন্ধ। তাই এই অবলা জীবদেরও খুবই rnকষ্টের মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে।’অনেকদিন পর আদর তার বিড়াল আদুরীকে পেয়েrn খুশি হলো। ওর খাওয়া শেষ হতেই ওকে মাটি থেকে তুলে নিল। আর আদুরীও আদরের rnহাতের আদর পেয়ে মুখ গুঁজে দিল ছোট্ট মেয়েটির বুকে আনন্দে। আদুরী111জুয়েল আশরাফ222আয় আদুরী আয়।প্রথমে আদুরী বুঝে উঠতেrn পারল না তাকেই যে ডাকছে ওই বাড়ির ছোট্ট মেয়েটি। মেয়েটাকে ও চেনে, ওর নাম rnআদর। নিজের নামের সাথে মিলিয়ে তার নাম রেখেছিল আদুরী। ঘাড় কাদ করে মাথাটা rnএকটু তুলে সেদিকে তাকাতেই ও বুঝতে পারল যে ওকেই ডাকছে। কানটা খাড়া করে rnআবারও শুনতে চেষ্টা করল আদুরী। না, তার আশপাশে তো আর কেউ নেই। তাহলে মেয়েটিrn ওকেই ডাকছে। মাঝেমধ্যে এ পাড়ার অনেকেই খেতে দেয় ডেকে। আদুরী খায় সে খাবার।rn তেমনি সমস্ত বাড়ির ইঁদুর মেরে পাড়ার লোকের ঋণও শোধ করে দেয়। আদুরী তাই rnআস্তে আস্তে এগিয়ে গেল ওর কাছে।এ পাড়ায় হোটেলের মালিক পান্নুও ছিলেন rnযিনি সবসময় তাকে ডেকে ডাল ভাত খেতে দিতেন। মনে হয় তিনি এমনই খাবার খান। তাইrn হাড্ডি, কাঁটা কখনও খেতে দেন না। যাই হোক ভালোবেসে যে যা খেতে দেয় আদুরী rnতাই খেয়ে খুশি থাকে। সেই কবে থেকে আদুরী রয়েছে এই পাড়াতেই। মা আর rnভাই-বোনেরা তো চলে গেছে কোথায়। কিন্তু আদুরী রয়ে গেছে।আদুরী কিন্তু rnএমনিতে ভালো খুব। কোনো বাড়ির মিটসেফে ভাজা মাছের খোঁজ করে না। ঢাকনা সরিয়েrn তরকারি চাটে না। বরং অন্য কোনো বিড়াল সেই কাজটি করতে এলে তাকে তাড়া করে rnবেড়ায়। তাই এ পাড়ার বাচ্চারাও ওকে মাঝেমাঝে খেতে বসে মাছের কাঁটা খেতে দেয়।rn আদর করে ডেকে খাবারও দেয়। সে দেখতে খুবই সুন্দর। নাদুসনুদুস। এজন্য আদুরী rnডাকে সবাই তাকে। রাতে কোনো একটা বাড়িতে শুয়ে থাকে সে। আসলে সে পাড়ার rnলোকেদের খাবারের ধার ধারত না আগে। যখন মোড়ের মাথার হোটেলটা চালু ছিল তখন rnসেখান থেকেই খাবার পেয়ে যেত এমনিতেই। এখন ‘করোনা’ নামে কী এক ভাইরাস আসাতে rnহোটেল বন্ধ হয়ে আছে বলে লোকেদের বাড়ির খাবারের ওপরেও ওকে নির্ভর করতে rnহচ্ছে। কিন্তু টুকটাক খাবারে তো আর পেট ভরে না। তাই শরীরটা আদুরীর খুব rnদুর্বল হয়ে পড়েছে এখন। পেট খালি থাকলে ঠিকঠাক ঘুমও তো আসতে চায় না। দুর্বল rnহয়ে শুয়ে থাকে আদুরী অনেক সময়ই।সেদিনও তেমনি শুয়ে ছিল আদুরী। হোটেল মালিকের ছোট্ট মেয়েটি এসে বলল, ‘আদুরী, ওঠ ওঠ। এই দেখ তোর জন্য কত খাবার এনেছি।’একrn চোখ খুলে দেখেই আদুরী শরীরের আড়মোড়া ভেঙে উঠে দাঁড়াল এবার। সামনে খাবার rnপ্লেট দিয়েই মেয়েটি ঘরের ভেতরে ঢুকল। তার মাকে বলতে শুনল, ‘এই বিড়ালটাই rnনষ্টের গোড়া। খাবার জিনিস সব নষ্ট করে বেড়ায়। ওকে খেতে দিলি কেন?’মেয়েটিrn বলল, ওর দোষ নেই মা। অন্য বিড়ালগুলো এসে খাবার নষ্ট করে দিয়ে যায়। ও খুব rnভালো বিড়াল মা। একদম কারোর খাবার নষ্ট করে না। ওকে যেটুকু খেতে দেবে তাতেই ওrn খুশি।’মা বলল, ‘বিড়ালকে তাড়াবার ব্যবস্থা নিচ্ছি দাঁড়া। কয়েকবার তাড়ালাম। এবার এমন ব্যবস্থা করব কোনোদিন আর এ পাড়ায় ফিরে আসতে পারবে না।’‘কী করবে মা শুনি?’‘প্রথমেrn ওকে বস্তায় ভরব। বস্তার ভেতর কর্পূর নেব। কর্পূরের গন্ধে অন্য সব গন্ধ rnঢাকা পড়ে যাবে। অনেক দূরে নিয়ে বস্তার মুখ খুলব। বস্তার মুখ খুলবার আগে rnবস্তাটা ঝ ঝ করে ঘুরাব যাতে বিড়ালের দিকভ্রম হয়। এরপর আর কোনোদিন গন্ধ rnশুঁকে শুঁকে ফিরতে পারবে না।’মেয়েটির অবাক হওয়ার গলায় বলতে শুনল, ‘এভাবেও বিড়াল তাড়ানো যায় নাকি মা?’আদুরীrn শুনল সবই। সামনে খাবার পেয়েও তার খেতে ইচ্ছে করল না। খাবারে রুচি নষ্ট rnহলো। অন্য বিড়ালগুলোর কারণে আজ তার বদনাম উঠেছে। ওকে কি তাড়িয়ে দেবে তবে? rnকী আর করবে। তাড়িয়ে দিলে চলে যাবে। ছোটবেলা থেকেই আদুরী একটু অন্য রকমের। rnকারও সঙ্গে ঝগড়া-মারামারি এসব করে না। অযথা ঝামেলা আদুরীর পছন্দ নয়। এসব rnথেকে সে দূরেই থাকতে চায়। ওর মা তো ছোট থেকেই ওর এই স্বভাবটার কথা জানত। rnদুঃখ করে বলত, ‘তুই যদি নিজের দাবি নিজে আদায় করে নিতে না পারিস তবে বাঁচবিrn কী করে? তোর আশপাশের বিড়ালগুলো তোর খাবার খেয়ে নিচ্ছে। অভুক্ত থেকে কি rnবাঁচতে পারবি তুই?’ আদুরী মনে মনে ভাবছে তেমন হলে আর এখানে থাকবে না ও। চলেrn যাবে অনেকদূরে। চলেই গিয়েছিল আদুরী। ঘুরেফিরে অনেকদিন পর হোটেল মালিকের rnসেই বাড়ি এসে পৌঁছল। পৃথিবী তো গোল, গোলাকার হয়ে ঘুরতে ঘুরতে আবার আগের rnজায়গায়।‘আয় আয় আদুরী।’হোটেল মালিকের ছোট্ট মেয়েটি ডাকছে। কিন্তু rnসঙ্গে আবার ওর মা কেন এলো? আবার কি তাড়িয়ে দেবে? আদুরী ভয়ে খাবারের কাছে rnযাবার সাহস পাচ্ছে না। মেয়েটির মা বলে উঠল, ‘তুই ঠিক বলেছিলি আদর, তোর rnআদুরী বিড়ালটা খেতে না পেয়ে সত্যিই খুব রোগা হয়ে গেছে। আয় আয় আদুরী খেয়ে নেrn মাছ-ভাত।’আদুরী মনে মনে ভাবছে ও কি ঠিক দেখছে? যে মানুষটি ওকে দেখলে rnপরেই তাড়া করে সে কিনা মাছ-ভাত খাওয়ার জন্য বলছে! তারপর আদুরীর খাওয়া দেখে rnআদরের মা বলছে, ‘আহারে বেচারি পেট ভরে না খেতে পেয়ে রোগা হয়ে গেছে। আমরা তোrn রোজই খাচ্ছি।’ আদরের বাবাও ঘর থেকে বেরিয়ে এসে আদুরীর খাওয়া দেখতে লাগল। rnবলল, ‘এখন রোজই আদুরীকে খেতে দিতে হবে। আমাদের উচিত বিড়াল-কুকুরদের খেতে rnদেওয়া।’ আদরের মা তখন বুঝতে পেরে বলল, ‘হুঁ বুঝলাম। এই করোনা ভাইরাসের rnমহামারিতে খাবার হোটেল বন্ধ, স্কুল কলেজ বন্ধ। তাই এই অবলা জীবদেরও খুবই rnকষ্টের মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে।’অনেকদিন পর আদর তার বিড়াল আদুরীকে পেয়েrn খুশি হলো। ওর খাওয়া শেষ হতেই ওকে মাটি থেকে তুলে নিল। আর আদুরীও আদরের rnহাতের আদর পেয়ে মুখ গুঁজে দিল ছোট্ট মেয়েটির বুকে আনন্দে।

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: কমলেশ রায়, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close